ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবেলায় প্রস্তুত আশ্রয়কেন্দ্র ও মেডিকেল টিম

প্রকাশিত: ৯:০৯ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম ও খুলনায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় যশ পর্যবেক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ ও মোকাবিলায় কন্ট্রোলরুম চালু করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। কন্ট্রোলরুমের মোবাইল নম্বর ০১৩১৮২৩৪৫৬০। আজ রবিবার (২৩ মে) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চট্টগ্রামে জেলা ও উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৫১১টি আশ্রয়কেন্দ্র। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠন করা হয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টিম ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টিম। মজুদ করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার।

রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জানান, ইতোমধ্যে জেলার আওতাধীন প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। উপকূলীয় এলাকায় প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে সচেতনতামূলক মাইকিং।

খুলনা: খুলনায় ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১১৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে ও জানমালের ক্ষতি প্রতিরোধে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার জানান, ইতোমধ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, মানুষের জানমাল রক্ষায় খুলনা জেলার ৯ উপজেলায় ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ৩২৪টি স্থায়ী এবং স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ ৭২৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। খুলনার দাকোপ ও কয়রা উপজেলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) মাইকিংয়ের জন্য বলা হয়েছে।

এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে শুষ্ক খাবার, অর্থ, চাল-ডাল প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সূত্র জানায়, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্য, এনজিও, সিপিপি, ফায়ার সার্ভিসসহ সকলকে যার যার মতো প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।