রাশিয়ার এক ডোজের করোনা টিকার নাম স্পুতনিক লাইট

প্রকাশিত: ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ, মে ৭, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্পুতনিক-ভি টিকার আরেকটি সংস্করণ এনেছে রাশিয়া। এক ডোজের এই টিকার নাম দেওয়া হয়েছে স্পুতনিক লাইট। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে।

রাশিয়া বলছে, করোনা প্রতিরোধে এক ডোজের এই টিকা ৭৯ দশমিক ৪ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। খবর এএফপির।

খবরে বলা হয়, স্পুতনিক লাইটের অর্থায়ন করছে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, দুই ডোজের টিকা স্পুতনিক–ভি টিকার কার্যকারিতার (৯১ দশমিক ৬ শতাংশ) বিপরীতে স্পুতনিক লাইট করোনা প্রতিরোধে ৭৯ দশমিক ৪ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে।

রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের দাবি, গত বছর ৫ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাশিয়ার গণ টিকাকরণের সময় এই নতুন টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল। টিকা প্রদানের ২৮ দিন পর যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে ‘স্পুটনিক লাইট’ টিকার ৭৯.৪ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। যা অনেক দুই ডোজের করোনা টিকার থেকেও অনেক বেশি কার্যকর।

সংস্থাটির দাবি, করোনাভাইরাসের নতুন সব স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকরী স্পুটনিক লাইট।

করোনার টিকা হিসেবে ৬০টি দেশে অনুমোদন পেয়েছে স্পুতনিক–ভি। তবে এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (এএমএ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনেস্ট্রেশন (এফডিএ) টিকাটির অনুমোদন দেয়নি। কিছু পশ্চিমা দেশ মনে করে, রাশিয়া নিজের প্রভাব বিস্তারে টিকাটিকে ব্যবহার করতে পারে। আর টিকাটি যথাযথ বৈজ্ঞানিক ধাপ না মেনে দ্রুত তৈরি করা হয়েছে।

রাশিয়ার টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট তৈরি করে স্পুতনিক–ভি। এটির অর্থায়ন করে আরডিআইএফ। সংস্থাটির অধীনে রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে গত ফেব্রুয়ারিতে টিকাটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলে। আরডিআইএফ জানায়, বিশ্বের দুই কোটি মানুষ এখন পর্যন্ত স্পুতনিক–ভি টিকা গ্রহণ করেছে।