মার্কেট খোলার দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : লকডাউনেও রাজশাহীতে মার্কেট খুলে রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। লকডাউন ভেঙে সোমবার সকালে মহানগরীর সাহেব বাজারে রাস্তায় নেমে পড়েন ব্যবসায়ীরা।

তারা দাবি করেন, সামনে ঈদ। এই সময়ে তাদের মার্কেট বন্ধ থাকলে আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন।

বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারিরা সাহেব বাজারে আরডিএ মার্কেটের সামনে জড়ো হন। তারা মার্কেটের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। সাহেব বাজার বড় রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দোকান খুলে দেয়ার দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। কেউ কেউ শুয়ে পড়েন রাস্তায়।

পরে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উপস্থিত হন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় ব্যাসায়ীরা তাদের দাবি তুলে ধরেন এবং মার্কেট খোলা না থাকলে তারা আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানান। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে মার্কেট খোলা রাখার দাবি করেন নেতারা।

রাজশাহী কাপড়পট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামিম জানান, গত বছর লকডাউনের কারণে তারা পরিবার নিয়ে ঠিকমতো ঈদ করতে পারেননি। লকডাউন চলছে চলুক, তাদের একটা সময় বেঁধে দিলে ভালো হবে। সেই সময়ের মধ্যে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করতে চান।

তখন এডিএম আবু আসলাম ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত। এটি স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে মালামাল পাঠাতে পারবেন। দোকান খুলে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ নেই। আমরা এ নিয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। আমরা আপনাদের দাবিগুলো নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলবো।

এরপরই ব্যবসায়ী নেতারা বিক্ষোভ কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।

এ সময় রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান সাধারণ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আগামীকাল তারা সিদ্ধান্ত জানাবেন। তারা যদি মার্কেট খোলার অনুমতি দেন, ভালো। না দিলেও আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ দায়িত্বে মার্কেট খুলে দেবো। এরপরই বিক্ষোভকারীরা রাস্তা থেকে সরে যান।

এদিকে, লকডাউনের প্রথম দিনে রাজশাহীতে বাস চলাচল করেনি। তবে রাস্তায় রিকশা ও অটোরিকশা চলেছে। যদিও এ সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। রাস্তায় লোকজনের চলাচলও কম ছিলো।

মহানগরীর বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে পাড়া মহল্লার ছোট দোকানপাট খোলা আছে। গ্রামের দিকে অবশ্য লকডাউনের কোন রকম পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়নি।