পুলিশ সদস্যকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ

প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১

সময় সংবাদ ডেস্কঃপঞ্চগড় সদর উপজেলার মোমিনপাড়া সীমান্ত থেকে ওমর ফারুক (২৪) নামে এক সদস্যকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমন্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন ওই সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৩ এর ৭ ও ৮ নং সাব পিলার এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হচ্ছে বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।

ওই পুলিশ কনস্টেবল পঞ্চগড় আদালতে বিচারকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়।

সীমান্ত সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার রাত ৯টার দিকে একটি মোটরসাইকেলযোগে ফারুকসহ তিনজন মমিনপাড়া সীমান্তে যান। এ সময় মমিনপাড়া সীমান্তের বিপরীতে ভারতের সিপাইপাড়া মহল্লার ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে তাদের তর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে বাংলাদেশি ঘাগড়া বিবিজি ক্যাম্পের বিপরীতে ভারতের চানাকিয়া বিওপির বিএসএফ সদস্যদের খবর দেয় সেদেশের নাগরিকরা। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ভারতীয়রা ধাওয়া দিলে দুইজন পালিয়ে আসেন, তবে ফারুককে আটক করে বিএসএফ সদস্যদের হাতে তুলে দেন ভারতীয়রা।

সীমান্তবর্তী গ্রাম মমিনপাড়ার কুলছুম বেগম বলেন, তিনজন ভারত সীমান্তে যায়। তাদের সঙ্গে ভারতীয় লোকদের ঝগড়া হয়। তখন তারা বিএসএফকে খবর দেয়। বিএসএফ এসে একজনকে ধরে নিয়ে যায় এবং দুজন পালিয়ে আসেন। রাতেই আমরা শুনেছি বিএসএফের হাতে আটক ব্যক্তি পুলিশ এবং যে দুজন পালিয়ে এসেছেন তাদের একজনও পুলিশ।

মমিনপাড়ার বাসিন্দা ও ঘটনাস্থলের পাশে বসবাসকারী আমিরুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই তিনজনকে ধাওয়া করে। তারা ওমর ফারুককে আটক করে এবং বাকিরা পালিয়ে যান। আটকের পর তাকে অনেক মারধর করে তারা। পরে বিএসএফ সদস্যরা এসে তাকে চানাকিয়া ক্যাম্পে নিয়ে যান।

বিজিবি ঘাগড়া কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. রুহুল আমিন বলেন, আমরা এ ব্যাপারে স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি। তবে কে, কখন এবং কেন ভারতীয় সীমান্তে গেছেন আমরা জানতে পারিনি। আমরা বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা একজনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছেন। বিজিবির পক্ষ থেকে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক বা চিঠি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

তবে পঞ্চগড়ের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় বলেন, কোনো পুলিশ সদস্যকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে কি-না তা বিজিবির পক্ষ থেকে এখনো জানানো হয়নি। এক্ষেত্রে আমাদের কাছে নাম ও ছবি দিয়ে জানানোর কথা। তবেই আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারব। এ বিষয়ে আমরাও খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরা সঠিকভাবে জেনে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আবু আক্কাছ আহমদ বলেন, ওই পুলিশ সদস্য আদালতে বিচারকদের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি কেন সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিলেন এ বিষয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত না। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।