ফেনীতে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফেনীর ফুলগাজীতে সিএনজিচালক মুলকত আহম্মদ কালা মিয়া হত্যা মামলায় ৩ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

একই মামলায় অপর একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকেও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা এ আদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ১৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হুমায়ুন হাছান রাকীব, আবদুর রহমান মানিক ও আবু তৈয়ব বাবলু। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন, সুমন চন্দ্র রায়।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মো. রাসেল, সোহাগ, মোশারফ হোসেন, রুবেল মিয়া, দিদার হোসেন রিপন, আলমগীর হোসেন বাবু, মাঈন উদ্দিন ঝিনুক, মো. জহির, নুর মোহাম্মদ জুয়েল জনি, সাফায়াত আহম্মদ পাটোয়ারী রাকিব, হাছান ইমাম, মো. সায়ফুল ইসলাম, মো. লোকমান হোসেন, শরীফ প্রকাশ টিপু, তৌহিদ উল্যাহ ও এনায়েত হোসেন রাজু।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহম্মদ এ তথ্য জানান। এর আগে গত ০২ ফেব্রুয়ারি একই আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।

মামলার নথিপত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরশুরাম থেকে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে মুন্সিরহাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন মুলকত আহাম্মদ কালা মিয়া। রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুজি শুরু হয়। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে জগতপুর রোডের টুক্কু মিয়ার পুলের পশ্চিম পাশে পানি থেকে মুলকতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই ফখরুল আহাম্মদ মজুমদার বাদি হয়ে ফুলগাজী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন ওসি সৈয়দুল মোস্তফা ২০১১ সালের ২৮ মে আদালতে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ২০১২ সালের ২৫ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।