এবার মোহাম্মদপুরেও একই ঘটনা, দুই বন্ধু রিমান্ডে

প্রকাশিত: ৫:৫৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কলাবাগানের পর এবার মোহাম্মদপুরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর দুই বন্ধুর ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিকে, রোববার মামলাটির এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।

সোমবার এ তথ্য জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন হিরণ।

এর আগে ভুক্তভোগী তরুণী জীবিত থাকা অবস্থায় তার বাবা বাদি হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ এ তথ্য জানান।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস অব বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থী।

মদ্যপান করিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে তার দুই বন্ধুকে আটক করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। আটক দুই বন্ধু ভুক্তভোগী তরুণীর সহপাঠী। তারা ইউল্যাব ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেলে ভুক্তভোগী ও তার ছেলে বন্ধু উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে মদ্যপান করেন। এরপর ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে তার ছেলে বন্ধু মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় চলে যান। সেখানে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন তার ছেলে বন্ধু। এতে ভুক্তভোগী তরুণী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তার বন্ধু এবং ওই বাসার মালিক একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে ভুক্তভোগী তরুণীর মৃত্যু হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা খবর পেয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসেন। তরুণীর মৃত্যুর আগে তিনি বাদি হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। আমরা ভুক্তভোগী তরুণীর ছেলে বন্ধুসহ দু’জনকে আটক করেছি।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল বলেন, চার বন্ধু মিলে উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে যায়। সেখানে তারা মদ পান করে। এর মধ্যে একটা মেয়ে অসুস্থ হয়ে চলে যায়। আর বাকিদের মধ্যে আরাফাত, রায়হান ও আরেকটি মেয়ে উবারে করে আসে। এদের মধ্যে আরাফাত রোববার মারা গেছে। রায়হান এবং ওই মেয়েটার পূর্বসম্পর্ক ছিল। একটি বাসায় নেওয়ার পর মেয়েটি অসুস্থ বোধ করলে তারা ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যায় কিন্তু তারা রোগী রাখেনি। পরে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সোমবার সকালে মেয়েটি মারা গেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে দু’জন আসামিকে আমরা গ্রেফতার করেছি। আরেকজন আসামি আরাফাত, সে মারা গেছে।’

এর আগে গত ০৭ জানুয়ারি রাজধানীর কলাবাগানে একই ধরনের একটি ঘটনায় এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়।