বেনাপোল স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দরে দু’দিন ধরে আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্টের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ‘জীবন-জীবিকা বাঁচাও’ নামে একটি সংগঠনের ধর্মঘটের কারণে রোববার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

এর ফলে দুই দেশের বন্দরে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।

তবে বেনাপোল বন্দর খোলা রয়েছে। চলছে শুল্ক বিভাগের স্বাভাবিক কাজকর্ম, পণ্য খালাস ও আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার।

পেট্রাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, কয়েকদিন আগে পেট্রাপোল ‘জীবন-জীবিকা বাঁচাও’ কমিটি প্রশাসনের কাছে ৫ দফা দাবি জানান। এসব দাবি নিয়ে ভারতীয় প্রশাসন কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা রোববার সকাল থেকে পেট্রাপোল স্থল বন্দরে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এর ফলে রোববার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে পেট্রাপোল বন্দর প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার সকালে আবার আলোচনা বসেছে সবাই।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারতের বনগাঁ পেট্রাপোল অঞ্চলে শ্রমিকদের কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়ায় ওপারে বন্দরের সকল কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোলে সকল কার্যক্রম চলছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, পেট্রাপোলে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে রোববার সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না।

দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে পূর্বের মতো হ্যান্ডলিং কুলি ও পরিবহন কুলিদের কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে, পূর্বের মতো ট্রাকচালক ও সহকারীদের পায়ে হেঁটে পেট্রাপোল ও বেনাপোলের মধ্যে যাতায়াতের সুযোগ দিতে হবে, সাধারণ ব্যবসায়ীদের (মুদ্রা বিনিময়কারী, পরিবহন, ক্লিয়ারিং ও ফরওয়াডিং এজেন্ট, ট্রাকচালক, সহকারী) ওপর বিএসএফ ও অন্যান্য এজেন্সির নিরাপত্তার নামে অত্যাচার বন্ধ করতে হবে, বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আসা রপ্তানি পণ্যের ট্রাক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালির ব্যবস্থা করতে হবে ও আধুনিকতার অজুহাতে শ্রমিকদের কর্মহীন করা চলবে না।

বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বেশ কিছু শর্ত মেনে আমদানি-রপ্তানি করা হচ্ছে। এসব শর্ত মেনে চলতে গিয়ে সাধারণ কুলি, বন্দর শ্রমিকদের কাজ কমে গেছে। যে কারণে পেট্রাপোল স্থল বন্দরে কর্মজীবীরা কর্মস্থল ফিরে পেতে গঠন করেছেন ‘পেট্রাপোল জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি’।