শীত উপেক্ষা করে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

প্রকাশিত: ১১:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক ; চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় প্রচন্ড শীত আর ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে ইরি-বোরো রোপন করে সোনালী ফসল ঘরে তোলার নতুন স্বপ্ন নিয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন এ উপজেলার পরিশ্রমী কৃষকরা।

বাম্পার ফলনের আশায় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরোর বীজ তোলা, মাঠ প্রস্তুত, চাষ, সেচ ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করেছেন এখানকার কৃষকরা।

উপজেলার চুনতি মুন্সেফ বাজার, সাতঘর, পদুয়া, চরম্বা, পুটিবিলা, কলাউজান ও লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের কোনো ছুটি নেই একটার পর একটা কৃষিকাজ নিয়ে লেগে থাকতে। যতদূর চোখ যায় মাঠে সবুজ আর সবুজ।

উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের মুন্সেফ বাজার এলাকার কৃষক রহিমউল্লাহ (৪৫) জানান, গত ৫ বছর আগে প্রথমে ১ একর জমিতে তিনি বোরো আবাদ শুরু করেন পাশাপশি বাজারে ব্যবসা করতেন। ব্যবসার চেয়ে কৃষি কাজে বেশী লাভ দেখে ব্যবসার পরিধি গুছিয়ে কৃষি কাজে লেগে পরেন। এ বছর ব্যবসা সম্পূর্ণ বন্ধ করে ২ একর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করেছেন। তার দেখা-দেখি এলাকার প্রায় সকল কৃষকই কৃষি কাজে ঝুঁকে পরেছেন। সাতঘড় এলাকার কৃষক আব্দুল হক, আজিজ ও মানিক খান কৃষি কাজে তারা ব্যপক সফলতা পেয়েছেন বলে জানান। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া না হলে ইরি ধানের বাম্পার ফলন হবে বলেও তারা জানান। ধান-চালের ভালো দাম পাওয়ায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই বছর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ১২৭০ জন কৃষককে ২ কেজী করে বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। যাতে কৃষকরা চাষাবাদে উৎসাহী হন। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা হাইব্রিড চাষ বেশী ফলন পান রোগবালাই কম থাকায় হাইব্রিড চাষে লাভ বেশী হয় বলে জানান তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.মনিরুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতির কারনে দেশের খাদ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষে সরকারি প্রণোদনা ও পূণঃবাসন এর মাধ্যমে কৃষকদের সার ও বীজ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে এবং কৃষি কাজে উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছে। কৃষকরা ধান-চালের ভালো দাম পাওয়ায় চাষাবাদে মন দিয়েছেন। চলতি বছরে উচ্চ ফলন শীল (উফশী) ২ হাজার ৪’শ ৫০ হেক্টর ও হাইব্রিড ১১’শ হেক্টর জমিতে বোরো (ইরি) ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী বছরে চাষাবাদের পরিধি আরও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।