মধুপুরে ১৫’শ টাকার জন্য যুবক খুন, বিচার দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মধুপুরে ১৫’শ টাকার জন্য প্রতিপক্ষের হামলায় সুজন নামের এক যুবক খুন হয়েছে। এঘটনায় নিহত সুজনের বড় ভাই জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে সোমবার মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় ধলপুর বাজারে সুজন হত্যার বিচার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- চাপড়ী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম সবুজ, গাবতলী ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক আল মামুন, ধলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম স্বপন, নিহত সুজনের বড় ভাই জয়নাল আবেদীন ও তার বোন চায়না সহ এলাকার গন্যমান্যব্যাক্তিরা। বক্তারা সুজনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ ফাঁসির দাবী জানান।

কুড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলী জানান, কুড়ালিয়া ইনিয়নের ধলপুর গ্রামের নজর আলীর ছেলে নিহত সুজন পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী ছিলেন। সুজনের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই জয়নাল আবেদীনের একই উপজেলায় মেয়ের জামাইয়ের বাড়ীতে কারেন্টের মিটার লাগানোর জন্য সুজন কে ১৫’শ টাকা মিটার সংযোগের জন্য পল্লী বিদুৎ অফিসের খরচ বাবদ দেয়। পরে মিটার নামতে দেরি হলে গত রবিবার সুজনের কাছে টাকা ফেরত চায়। এ নিয়ে সুজন ও জয়নাল আবেদীন এই দুজনের মধ্যে কথা কাটা কাটি হয় । কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সুজন কে দৌড়িয়ে তাকে এলোপাথারীভাবে বেধড়ক মারপিট করে। এতে ঘটনাস্থলেই সুজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

স্থানীয়রা ও তার পরিবারের লোকজন আহত সুজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সুজনের অবস্থা খারাপ দেখে মধুপুর মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসরা সুজনের অবস্থার অবনতি দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সোমবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজনকে মৃত ঘোষনা করেন।

নিহত সজুনের বাবা নজর আলী, মা ফাতেমা এবং বড় ভাই আয়নাল ও জয়নাল আবেদীন সহ তার পরিবারের স্বজনরা জানান, সুজন অনেক ভালো মানুষ ছিলো। সুজন কে স্থানীয় মহির উদ্দিনের ছেলে সেলিম হোসেন(২২), বাদশার ছেলে রেজাউল(২৯),ইউছুব আলীর ছেলে শামীম(২৭) ও ইয়াকুব আলীর ছেলে ইয়ামিন সহ আরো ৫ থেকে ৬ জন মিলে লোহার রড় ও কাঠের সাড়ক দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। তারপর সুজন কে হাসপাতালে নেওয়ারপর চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেছেন। আমরা সুজন হত্যার সর্বোচ্চ বিচার ফাঁসি দাবী করছি প্রশাসনের কাছে।

এঘটনায় বিবাদী জয়নাল আবেদীনের বাড়ীতে কথা বলতে গেলে কাউকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তারিক কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত সুজনের বড় ভাই জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে গত সোমবার মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় অভিযুক্ত ২ জন কে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন- ধলপুর গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে মহির উদ্দিন(৪১), মৃত-দারাগ আলীর ছেলে ইউছুব আলী(৬০)।মামলা নং-৩,তারিখ-৪ জানুয়ারী ২০২১ খ্রি:।