সাভারে গাড়ি চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ৫

প্রকাশিত: ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : সাভারের বিরুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে গাড়ি চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে গাড়ির চালকসহ চার জন শ্রমিক আহত।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সাভারের বিরুলিয়ার বৌ বাজার এলাকার স্নো হোয়াইট কটন লিমিটেড এর সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

শিল্প পুলিশ বলছে, বিরুলিয়ার স্নো হোয়াইট কটন লিমিটেড গার্মেন্টস চাকরি করে আসছিলো ১০০ জনের বেশির শ্রমিক। পরে মালিকপক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে শ্রমিকদের নভেম্বর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে আজ সকালে কারখানাটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করে নোটিশ টাঙিয়ে দেন কারখানাটির মুল ফটকে, সকালে শ্রমিকরা কারখানায় কাজে যোগদান করতে এসে বন্ধের নোটিশ দেখে বিক্ষোভ করে বিরুলিয়া মিরপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রাখে।

এদিকে খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রাস্তা থেকে শ্রমিকদের সড়িয়ে দিলে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে একটি পাইভেট কারের চালক রাস্তা বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের উপর চড়াও হয়ে নারী শ্রমিককে মারধর করা হলে শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে গাড়ি চালক ও শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কারখানাটির শ্রমিক মনি আক্তার, রুনা, রাবেয়া খাতুন, ঝুমুর ও গাড়ির চালক আইয়ুব মাতব্বরসহ পাঁচ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

শ্রমিকরা জানায়, দু’মাসের বকেয়া বেতন না দিয়ে মালিকপক্ষে বিভিন্ন আজ দিবে কাল দিবে বলে তালবাহানা করে যাচ্ছি আজকে আমাদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে রাতের আধারে কারখানার গেটে তালা ঝুলিয়ে মালিক গা ধাক্কা দিয়ে মালিকপক্ষের সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি ধামকি ও আমাদের উপরে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে শ্রমিকরা।

এবিষয়ে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাভার আশুলিয়া ধামরাই শিল্পঞ্চল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রতন হোসেন মোতালেব বলেন, শ্রমিকদের দুমাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে মালিক পালিয়ে বেড়াচ্ছে আমরা এখন শ্রমিকদের নিয়ে বিজিএমইএর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে এখানে যদি সমাধান না হয় কলকারখানা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

এবিষয়ে শিল্প পুলিশ ১ এর পরিদর্শক আউয়াল বলেন,শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য তারা মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে যাচ্ছেন। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাটির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।