শীতের আমেজে সবজিতে আগুন, কমেনি কোনও কিছুর ঝাঁজ

প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২০

অনলাইন ডেস্কঃ শীতের আমেজেও স্বস্তি নেই সবজিতে। বাজারে সব শীতের সবজির প্রায় দেখা মিললে এখনো কমেনি কোনও কিছুর ঝাঁজ। এতে অস্বস্তিতে ক্রেতারা।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, টিঅ্যান্ডটি বাজার, কমলাপুর, বাসাবো, খিলগাঁও, মালিবাগ ও রামপুরা বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির দর এখনো ৭০ টাকার ওপরে। অথচ প্রতিবছর এ সময়টায় শীতের নতুন সবজি ব্যাপকভাবে বাজারে উঠতে শুরু করে। সে অনুযায়ী কমতে শুরু করে দামও, তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।

এদিকে বাজারে সবজির সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজ ও আলুর জন্যেও দিতে হচ্ছে চড়া দাম। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, বাজারের প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই ঊর্ধ্বমুখী বলছেন ক্রেতারা।

বাজারে গাজর, টমেটো, শিম, উস্তা, বেগুন ও বরবটির কেজি একশ টাকার ঘরে রয়েছে। বাকি সবজিগুলোর দামও ব্যাপক চড়া। বেশিরভাগের দাম একশ টাকার কাছাকাছি।

বাজার ও মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত কয়েক মাসের মতো পাকা টমেটোর কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। এছাড়া বরবটির ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১১০ টাকা, উস্তে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার দুই দফায় দাম বেঁধে দিলেও কমেনি দাম। বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সরকার প্রথমে খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা এবং পরবর্তীতে ৩৫ টাকা বেঁধে দেয়। বাজারে আসা নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।

শীতের অন্যতম প্রধান সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দামেও নেই লাগাম। ছোট একটি ফুলকপি কিনতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে। একই দাম দিতে হচ্ছে বাঁধাকপির জন্যও।

এদিকে ঢেঁড়সের কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, উস্তা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এক হালি কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

স্বস্তি মিলছে না কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দামেও। এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচামরিচ বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বাজার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা। আমদানি করা বড় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এদিকে সবজির চড়া দামের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম। ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতো ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর ফার্মের মুরগির ডিম ১০৫ থেকে ১১০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে লালশাক, পুঁইশাকের সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি সরিষাশাক ও ডাঁটাশাকও পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে প্রতি আঁটি ১৫ টাকায়। মাঝে লালশাকের আঁটি ২০ টাকার কমে পাওয়া যেত না। ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া পুঁইশাকের দামও কিছুটা কমেছে।

সবজি বিক্রেতারা জানান, একদিকে শীতকালীন সবজি বাজারে খুব একটা আসেনি, অন্যদিকে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন সবজির উৎপাদনও প্রায় শেষের দিকে। শীতকালীন সবজি বাজারে পুরোদমে আসতে আরো সপ্তাহ দুয়েক লাগবে, তখন দাম নেমে আসবে। এর মধ্যেই দেশি কাঁচা মরিচ বাজারে আসছে। ফলে দাম ১৫০ টাকার নিচে নেমেছে।