‘পদ্মা সেতু হলে এখানকার চেহারা পাল্টে যাবে’

প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘যারা বড় হচ্ছে, লেখাপড়া করছে, তাদের চাকুরির অভাব হবে না। পদ্মা সেতু হওয়ার পর এই এলাকার চেহারা পরিবর্তন হবে। অসংখ্য কারখানা হবে এখানে। সে সময় সকল ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ইতিমধ্যে এখানে কর্মসংস্থানের জন্য একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্যাক্টরী তৈরী করে দিয়েছে সরকার। আপনাদেরকে আর দুঃশ্চিন্তা করতে হবে না।’

শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ৬১ ভাগ মানুষ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। যারা লেখাপড়া করেছে সরকার তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভাল চাকুরি পাওয়ার ব্যবস্থা করবে। সেই সঙ্গে যারা শিক্ষিত নয় তারাও যাতে কিছু করে খেতে পারে সে ব্যবস্থাও করবে বর্তমান সরকার।’

তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য অনেক কষ্ট করে। তারা কাজ করার মানুষ পায় না। আমাদের এখানে মানুষ অনেক আছে কিন্তু কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। আর এটাই “মুজিব বর্ষে” সরকারের অঙ্গীকার।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিলো একটি স্বাধীন দেশ, একটি পতাকা আর একটি ভূখন্ড। আর একটি স্বপ্ন ছিলো এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। যেখানে মানুষ খেয়ে থাকবে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকবে, বাসস্থানের অভাব থাকবে না, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না। অর্থাৎ আলোকিত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা ছিলো জাতির পিতার স্বপ্ন। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সব কিছু করবে সরকার।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে সামাধী সৌধ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগষ্ট পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অর্থ সচিব আ. রউফ তালুকদার, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ রুহুল আমিন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।