অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি ১৪ গুণ বেশী দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২১ অনলাইন ডেস্ক : অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের মধ্যে কোভিড অর্থাৎ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ১৪ গুণ বেশী বলে জানিয়েছেন সাবেক উপাচার্য্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দেশকে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনিষ্টিটিউটে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, দি ইউনিয়ন এবং ডাব্লিউবিবি ট্রস্টের উদ্যোগে দিনব্যাপি ‘Conference on Sustainable Tobacco Control in Bangladesh’ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে সারাদেশ থেকে শতাধিক সরকারী, বেসরকারী ও আর্ন্তজাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, কৃষিবিদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ সরাসরি ও ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন। সম্মেলনে তামাক নিয়ন্ত্রণে আর্থিক যোগান, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনের দূর্বলদিক ও সংশোধন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন, তামাকের উপর কর বৃদ্ধি, তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ ও তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সকল নীতি সুরক্ষা উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয়। সম্মেলনে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য অনুবিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগম, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি সভাপতি মোজ্জাফ্ফর হোসেন পল্টু, ন্যাশনালহার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালেক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রাণ গোপাল দত্ত, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা সভাপতি ও সাবেক উপাচার্য্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক, ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী সংসদ সদস্য গাইবান্ধা-১, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর মহাপরিচালক স.ম. গোলাম কিবরিয়া, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সমন্বয়কারী (যুগ্ম সচিব) মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। আ. আ. ম. স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের মধ্যে কোভিড অর্থাৎ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ১৪ গুণ বেশী। ক্রমবর্ধমান রোগের জন্য জনসাধারণকে মানসম্মত চিকিৎসা প্রদান রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলা অত্যন্ত জরুরী। রাজস্ব আয়ের দোহাই দিয়ে তামাকের প্রসারের সুযোগ বন্ধ করতে হবে। ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে কম তামাকের কর বাংলাদেশে। এ কর কাঠামো দিয়ে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। তামাক নিয়ন্ত্রণে তামাকের কর বাড়ানোর বিকল্প নেই। ই-সিগারেট বন্ধে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। ই- সিগারেটের ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। তামাক কোম্পানিগুলো নীতি নিধারনী পর্যায়ে প্রভাব বিস্তারের কারণে সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গতিশীল রাখতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থের জোগান নিশ্চিত করতে হবে। তামাক থেকে প্রাপ্ত সারচার্জ আমরা তামাক নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহার করতে পারছি না। এজন্য আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রফেসর ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করতে হবে। জনস্বাস্থ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তামাক কোম্পানিগুলোকে কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে নীতি সুরক্ষা, প্যাকেটে স্বাস্থ্য সর্তকবানীর আকার বৃদ্ধিসহ বিদ্যমান আইনটি সংশোধন করে দ্রুত যুগোপযোগী করা প্রয়োজন। ফরিদা আখতার বলেন, বিশ্বে তামাক চাষে জমি ব্যবহার ১৪তম এবং উৎপাদনে ১২ তম। শুধু স্বাস্থ্য নয় দেশের কৃষি, পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্রের জন্য হুমকি এ তামাক। তামাক নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। ড. রুমানা হক বলেন, প্রকল্প নির্ভর তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম দিয়ে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারী বেসরকারী ভাবে মাত্র ৪০ কোটি টাকার ব্যয় হয়। আমাদের স্থায়ীত্বশীল তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অর্থের জোগান নিশ্চয়তা প্রয়োজন। তামাক ক্ষেত্রে অর্জিত করের একটি অংশ তামাক নিয়ন্ত্রণে ব্যয় করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুহার ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র চিকিৎসা দিয়ে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সম্মেলনে সারাদেশ থেকে ১২০টি সংগঠনের ১৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। চারটি অধিবেশনে ৬ প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। Share this:FacebookX Related posts: অর্থনৈতিক কূটনীতি চালানোর নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাদক নির্মূলে তিনভাবে কাজ করছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃষ্টিতে সৈয়দ আশরাফের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানালো আ.লীগ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী: প্রধানমন্ত্রী এনআরসির প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে না : শ্রিংলা পবিত্র শব-ই-কদর আজ ঈদে ব্যক্তিগত গাড়িতে বাড়ি ফিরতে বাধা নেই সিনহা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সন্তুষ্ট রাওয়া করোনায় সুস্থতার সংখ্যা ছাড়ালো দেড় লাখ একজনের টিকিটে ট্রেনে অন্যজন ভ্রমণে ৩ মাসের দণ্ড সৌমিত্রের মৃত্যুতে অভিনয় জগতে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হলো ২০২০ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে SHARES Matched Content জাতীয় বিষয়: ১৪ গুণ বেশীঅধূমপায়ীদেরকরোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতুলনায়ধূমপায়ীদের