সড়কের মাঝে খুটি, সরাতে সড়ক ও বিদ্যুৎ বিভাগের রশি টানাটানি

প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২০
সড়কের মাঝে খুটি সরাতে সড়ক ও বিদ্যুৎ বিভাগের রশি টানাটানি

অনলাইন ডেস্ক : সড়ক ও বিদ্যুৎ বিভাগের সমন্বয়হীনতার কারণে গোপালগঞ্জে তিনটি জেলা সড়কে রাস্তার মাঝে খুটি অপসারণ করেনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। যে কারণে রাস্তার মাঝে খুটি রেখেই সড়ক পাকা করছে গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। নির্মাণাধীন এসব সড়কের খুটি অপসারণ নিয়ে সড়ক ও বিদ্যুৎ বিভাগের চলছে রশি টানাটানি। এক বিভাগ আরেক বিভাগের উপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বিজয়পাশা-তালাবাজার, কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা লঞ্চঘাট-রামদিয়া বাজার এবং একই উপজেলার গেড়াখোলা-জয়নগর চলমান এই তিনটি জেলা সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। এসব রাস্তার নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। এসব রাস্তায় পল্লী বিদ্যুতের অসংখ্য খুটি রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে খুটি অপসারণের জন্য সড়ক বিভাগ চিঠি দিলেও এখোনো পর্যন্ত খুটি অপসারণ করা হয়নি। আর তাই রাস্তার মাঝে খুটি রেখেই ফুকরা লঞ্চঘাট থেকে রামদিয়া বাজার সড়কের বেশীর ভাগ অংশ কার্পেটিং করা হয়েছে।

পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি লাইন নির্মাণ করার সময়ে মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক, জেলা সড়ক ও গ্রামীন সড়কের ঢালে খুটি পুতে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা সড়কের মালিকানা কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি বা কারিগরি সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। অথচ ওই সকল রাস্তা প্রসস্থ করার সময়ে খুটি অপসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে চিঠি দিতে হয়। তারা খুটি অপসারণের জন্য প্রাক্কলন তৈরী করে রাস্তার মালিকানা কর্তৃপক্ষকে প্রদান করেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে খুটি অপসারণের বিল প্রদান করার পরই কেবল তারা খুটি অপসারণের উদ্যোগ নেয়।
দৈনিক সময় সংবাদ
স্থানীয়রা জানিয়েছে, আমাদের এলাকার গ্রামীন সড়ক জেলা সড়কে উন্নীত করে সড়ক বিভাগ রাস্তার নির্মাণ কাজ করছে। এই রাস্তায় বিদ্যুৎ লাইনের অনেক খুটি রয়েছে রাস্তার মাঝে। এসব খুটি না সরানোর কারণে রাস্তার কাজ যথাসময়ে হচ্ছেনা। তাছাড়া রাস্তার মাঝে খুটি থাকায় এই এলাকায় যানবাহন চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে রাস্তার মাঝখানে খুটি থাকায় যেকোন সময়ে যানবাহন দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তারা এসব খুটি অপসারণ করে দ্রুত রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবী জানিয়েছে।

গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন জানান, আমাদের রাস্তায় বছরের বিভিন্ন সময়ে আমাদের অনুমতি বা কারিগরি সহায়তা ছাড়াই যত্রতত্র খুটি স্থাপন করে। কিন্তু আমরা যখন রাস্তা প্রসস্থ বা সংস্কার করতে যাই তখন বার বার চিঠি লেখার পরেও পল্লী বিদ্যুৎ তাদের খুটি অপসারণ করে না।

গোপালগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক, জেলা সড়ক ও গ্রামীন সড়কের ঢালে পিলার পুতে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করে থাকি। কিন্তু, নিয়মানুযায়ী আমাদেরকে খুটি সরানোর বিল পরিশোধ করলেই কেবল মাত্র আমরা খুঁটি সরিয়ে থাকি। এর বাইরে আসলে আমাদের কিছু করার থাকেনা।