গাজীপুরে আধিপত্য বিস্তারে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশিত: ৫:৩৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১

সময় সংবাদ ডেস্কঃগাজীপুরে এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতে এবং সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে বাক বিতন্ডতার পর এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার নিহতের ছোট ভাই মো. সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে চার জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হচ্ছে- মামলার প্রধান আসামি পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকার মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে কাওসার আহমেদ আকাশ (২৩), শহরের মধ্য ছায়াবিথী এলাকার মো. আমজাদ হোসেন মুকুলের ছেলে মো. মেহেদী হাসান বিজয় (১৮), মারিয়ালী-কলাবাগান এলাকার মো. নুরুজ্জামানে ছেলে মো. শামীম (১৮), জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কলাপাটুয়া এলাকার মোঃ রেজাউল করিমের ছেলে ইমন আহমেদ (২০), সদর উপজেলার কুমুন এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে মোবারক হোসনে ওরফে মোবা (১৯) ও মধ্য ছায়াবিথী এলাকার বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে নিলয় চন্দ্র বিশ্বাস (১৮)।

শনিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (ক্রাইম ও মিডিয়া) জাকির হাসান সদর থানায় এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান। প্রেস ব্রিফিংকালে সহকারী পুলিশ কমিশনার থুয়াই ফ্রু মারমা, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলে।

প্রেস ব্রিফিংএ তিনি বলেন, নিহত ছাদেক আলী ঘটনার দিন রাত নয়টার দিকে সাদেক আলী তার ছেলের জন্য বিস্কুট কেনার জন্য বাসা সংলগ্ন জনৈক গোপালের দোকানে যায়। সেখানে অভিযুক্ত যুবকদের সঙ্গে একটি তুচ্ছ নিয়ে সাদেক আলীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের সরিয়ে দিলে সাদেক বাসায় চলে যায়। পরে আসামিরা সাদেককে বাসা থেকে ফের রাস্তায় ডেকে আনে। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা সাদেককে এলোপাথারি মারধর ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে গলায় আঘাত করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, মামলার দুই নম্বর আসামি মেহেদী হাসান বিজয় মধ্যছায়াবিথী এলাকার একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখার জন্য তার নেতৃত্বে অপর আসামিরা সমবয়সী কয়েকজনের একটি বখাটে গ্রুপ পরিচালনা করে। ওই গ্রুপগুলোর সদস্যদের অংশগ্রহণের তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃত্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে ।