সিনহা হত্যা: এপিবিএনের তিন সদস্যের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২০

নিউজ ডেস্ক :অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ও বুধবার পৃথক সময়ে এ তিনজন ঘটনার বিষয়ে আদালতে জবানবন্দি দেন।

বেলা দেড়টার দিকে তদন্ত সংস্থার সদস্যরা এপিবিএনের এএসআই শাহজাহান ও কনস্টেবল রাজীবকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে হাজির করেন। বেলা ২টা হতে তাদের স্বীকারোক্তি নেওয়া শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় এপিবিএনের অপর সদস্য কনস্টেবল মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তার স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করেন আদালত। স্বীকারোক্তি নেওয়া শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। এ মামলায় সিনহার দুই সফরসঙ্গী কারান্তরিণ হন।

৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল।

এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক রয়েছে। তাদের নামে কোন পুলিশ সদস্য কক্সবাজারে কর্মরত নেই বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। কিন্তু এ দুই আসামির পরিচয় শনাক্তে জেলা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেছে র‌্যাব, এমনটি জানিয়েছিলেন আশিক বিল্লাহ।

এ মামলায় নথিভুক্তসহ সহযোগী আসামি হিসেবে এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারের পর বিভিন্ন সময় প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত।

রিমান্ড শেষ করে সোমবার ওসি প্রদীপসহ পুলিশের ৭ সদস্যকে আবারো ৭দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ৪দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। আর প্রথম দফা রিমান্ড শেষ হবার আগেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এপিবিএনের তিন সদস্য কনস্টেবল আবদুল্লাহ, রাজীব ও এএসআই শাহজাহান।