রাষ্ট্রপরিচালনায় আমাদের জন্য সবকিছু গড়ে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু

প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২০

অনলাইন রিপোর্টার : জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরে আমাদের জন্য সবকিছু গড়ে দিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,আমি প্রথম ক্ষমতায় এসে দেখলাম, রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য সব কিছুর ভিত তৈরি করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ মানুষের মৌলিক চাহিদা কীভাবে পূরণ হবে, দেশের আইন কী হবে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, গরিবের সহায়তা করাসহ সব বিষয়ে তিনি কাজ করে গেছেন। রবিবার (৩০ আগস্ট) গণভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,দেশের সীমানা নির্ধারণ ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণে বঙ্গবন্ধু কাজ করেছেন। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, কোনও রিজর্ভ নেই; সেখান থেকে দেশকে নিয়ে তিনি যেভাবে এগিয়ে গেছেন, তা আমাদের জন্য বিস্ময়। তিনি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও পুলিশসহ সব কিছুর ভিত তৈরি করে দিয়ে গেছেন। জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথসহ বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সব গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সদস্য করে গেছেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন,পাকিস্তানি হানাদারেরা আগে রাজারবাগে আক্রমণ করে, ওই রাতেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার আগে ৭ মার্চ ভাষণে তিনি গেরিলা যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে পাক বাহিনী নির্যাতন করেছিল, মামলা দিয়েছিল; কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তারা বঙ্গবন্ধুকে অপরাধী প্রমাণ করতে পারিনি। জনমত সবসময় তিনি পক্ষে পেয়েছেন।

সরকার প্রধান বলেন,বঙ্গবন্ধু এতকিছু করার পর কিছু কিছু লোক লেখে, কোনও উন্নয়নই নাকি হয়নি। কেন? কী উদ্দেশে তারা এগুলো বলে। অনেকে গণতন্ত্রের কথা বলে। মার্শাল ল দিয়ে কখনও গণতন্ত্র হয় না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর আমাদের পার্টির অনেক নেতাকে হত্যা করেছেন। অনেকের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছেন, আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। যারা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, এমন সেনা অফিসারদের হত্যা করেছেন। চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জিয়ার সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একেক রাতে ৮-১০ জন করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন,চাটুকার কিছু মানুষ গণতন্ত্রের কথা বলেন। জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য। আর গণতন্ত্র থাকলেই কেবল মৌলিক চাহিদা পূরণ সম্ভব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছে। খাবার পেয়েছে। আশ্রয় পেয়েছে। চিকিৎসা পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন,মিলিটারি ডিকটেটর দ্বারা তৈরি করা দলের কেউ যেন আমাদের দলে না আস। তারা উড়ে এসে জুড়ে বসে। তারা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক। তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সংগঠন বিস্তৃত।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন,আওয়ামী লীগ আছে বলেই দেশ পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া; মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, এই দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধামন্ত্রী বলেন,স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরে চলতে হবে। আমাদের লক্ষ্য মৃত্যু হার কমিয়ে আনা এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের পুলিশ, বিজিবি সেনাবাহিনী, আনসার সবাই করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।