ভারতজুড়ে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত কার্ফু

প্রকাশিত: ২:০৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ আটকাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সারা দিয়ে রোববার সকাল ৭টা থেকেই দেশ জুড়ে জনতা কার্ফু শুরু হয়ে গেছে। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, রাজস্থান- সকল রাজ্যেই সকাল থেকে রাস্তাঘাট একেবারে শুনশান।

অন্য সময় মুম্বাইয়ের লোকমান্য তিলক টার্মিনাল যেখানে প্রচুর ভিড় থাকে এদিন সকাল থেকে তা পুরোপুরি জনশূন্য। রাত ১০টা পর্যন্ত সমস্ত ইন্টার সিটি ট্রেনও বাতিল।

এমনকি চেন্নাই বিমানবন্দরেও হাতে গোনা কিছু লোক দেখা গেছে। বেঙ্গালুরুর ব্যস্ত ম্যাজিস্টিক বাস টার্মিনালেও কোনও যাত্রী নেই।

গুজরাট, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ওড়িশার মতো রাজ্যে লক ডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্যগুলোর সরকার।

করোনা ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩১৫, মৃত্যু হয়েছে চারজনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৩ জন। করোনা রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাই এই এক দিন দেশবাসীকে স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি থাকার আবেদন জানিয়েছেন।

রোববার জনতা কার্ফু শুরুর আগে সকালেই তিনি টুইট করেন, “আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই #জনতাকার্ফু শুরু হবে। সবাইকে এতে অংশ নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি, যা কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি জোগাবে। এই পদক্ষেপটাই আগামী দিনে আমাদের সাহায্য করবে। বাড়িতে থাকুন এবং সুস্থ থাকুন। #ইন্ডিয়াফাইটসকরোনা।”

শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম রোগীর সন্ধান মেলে। জব্বলপুরে একই দিনে চারজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মেলে। আর শনিবার থেকেই মধ্যপ্রদেশ সরকার জব্বলপুর-সহ চারটি শহরে লক ডাউন ঘোষণা করে। আজ পুরো রাজ্য জুড়েই কার্ফু পালন করছেন জনতা।

সকল রাজ্যের মুখ্য সচিবদের কাছে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে দমকল, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স বিকেল ৫টায় সাইরেন বা ঘণ্টা বাজিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে নিরন্তর কাজ করে চলা মানুষদের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা জানায়।

জরুরি পরিষেবায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া সারা দেশজুড়েই সারাদিন সকল দোকান-বাজার বন্ধ থাকবে।

৯ বছরে এই প্রথম বেঙ্গালুরু জুড়ে মেট্রো পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ। জনশূন্য বারাণসী ঘাটও। কোয়মবত্তুরের গাঁধীপূরম ফ্লাইওভার, নভি মুম্বইয়ের সিয়ন প্যানভেল হাইওয়ে, রাঁচি রেলওয়ে স্টেশন, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ সর্বত্রই একই চিত্র।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা সকলের উদ্দেশে টুইট করেন, ‘কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে লড়তে হবে। মানুষের দ্বারা এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য জনতা কার্ফু খুবই বড় পদক্ষেপ।’ সূত্র, আনন্দবাজার।