সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, কারখানায় ভাংচুর

প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : সাভারে বকেয়া বেতনে দাবিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে তৈরী পোশাক শ্রমিকরা। এসময় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখে এবং কারখানায় ব্যাপক ভাংচুর চালায়। পরে নিরাপত্তার সাথে কর্তৃপক্ষ কারখানাটিতে ছুটি ঘোষনা করেছেন।

বুধবার দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুর-সিংগাইর সংযোগ সড়কের পাশে অবস্থিত চিত্র নায়ক অনন্ত জলিলের মালিকনাধীন এজেআই গ্রুপের তৈরী পোশাক কারখানায় এ ভাংচুর এবং বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।

বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা জানায়, প্রতিমাসেই কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন পরিশোধে গড়িমষি করে। এর আগেও আমরা এই কারনে আন্দোলন করেছি। আমাদের গত মাসের বেতন ১০ নভেম্বর পরিশোধ করার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ তাদের কথা রাখেনি। এজন্য বুধবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কর্মবিরতী পালন শুরু করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শ্রমকিরা হেমায়েতপুর-সিংগাইর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। প্রায় দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর চালায়। পরে কর্তৃপক্ষ কারখানাটি ছুটি ঘোষনা করলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়।

বাংলাদেশ গামের্ন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সাভার থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর বলেন, ‘অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখে। অনন্ত জলিলের কারখানায় প্রতিমাসের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করলেও তাদের পুরাতন একটা অভ্যাস মালিকপক্ষ আগের মাসের বেতন পরের মাসে ৫-৭ তারিখে না দিয়ে ১২-১৫ তারিখ পর্যন্ত নিয়ে ঠেকায়।তবে এজেআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের দাবি, ‘আমাদের কোনো মাসের বেতন বাকি নেই। অক্টোবর মাসের বেতন আগেই ঘোষণা করা হয়েছে আজ (১৩ নভেম্বর) পরিশোধ করা হবে। আমাদের এক্সপোর্টের একটা সমস্যা ছিলো। তবে অন্য মানুষের মতো আমাদের তিন মাসের বেতন বাকি থাকে না। আসলে এটা কোনো বেতন ইস্যু না। ইস্যুটা হলো পলিটিক্যাল।

সাভার চামড়া শিল্প নগরী (ট্যানাীর) ফাঁড়ির (এসআই) মোঃ আমির হোসেন বলেন, হেমায়েতপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে আসেন। পরে শ্রমিকদেরকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া কর্তৃপক্ষ কারখানাটিতে সাধারন ছুটি ঘোষনা করলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়।