আবারো সংঘর্ষে জড়ালো আজারবাইজান-আর্মেনিয়া

প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৩

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : নতুন করে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। রোববার উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে । এ সময় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়।

নিহতদের মধ্যে দুজন আজারবাইজানের সেনা এবং অন্য তিনজন আর্মেনীয় কর্মকর্তা।

সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজারবাইজানের সৈন্য এবং জাতিগত আর্মেনীয়দের মধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে গুলি বিনিময় হয়েছে এবং এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার বলেছে, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের প্রধান একটি শহর থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সন্দেহে একটি কনভয়কে থামানোর পরে গুলি বিনিময়ে তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছে। এতে বলা হয়, কনভয়টি একটি অননুমোদিত রাস্তা ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছিল।

অন্যদিকে আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজারবাইজানের সেনাদের গুলিতে কারাবাখের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজারবাইজানের সেনাদের বাধাপ্রাপ্ত হওয়া কনভয়টি নথিপত্র এবং সার্ভিস পিস্তল বহন করছিল উল্লেখ করেছে তারা। একইসঙ্গে আজারবাইজানীয় অভিযোগগুলোকে ‘অযৌক্তিক’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দিয়েছে আর্মেনীয় মন্ত্রণালয়।

আর্মেনিয়ার দাবি, আজারবাইজানের এসব আচরণ ‘আগে থেকে পরিকল্পিত এবং দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনায় উসকানি ছড়াতে’ করা হচ্ছে।

মূলত ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজার ও আর্মেনিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। উভয় দেশই সেসময় সোভিয়েত শাসনের অধীনে ছিল। একপর্যায়ে আর্মেনিয়ান বাহিনী নাগোরনো-কারাবাখের নিকটবর্তী অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করে, যা মূলত দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অঞ্চল হিসাবে স্বীকৃত।

পরে ২০২০ সালে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে সেসব অঞ্চল পুনরুদ্ধার করে আজারবাইজান। সেসময় ছয় সপ্তাহের সেই যুদ্ধ রাশিয়ার মধ্যস্ততার মাধ্যমে শেষ হয়। এরপর যুদ্ধের কারণে পালিয়ে যাওয়া হাজার হাজার বাসিন্দা সেখানে ফিরে আসেন।