পাইপ লাইনে থাকা গ্যাসের জন্য উত্তরাঞ্চলে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়নি

প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে ঈদের রাত থেকে উত্তরাঞ্চলে পাইপ লাইনে গ্যাস সরবারাহ আতঙ্ক কেটে গেছে। আতংক থেকে মুক্তি পেয়েছে বগুড়া, রাজশাহী, ও সিরাজগঞ্জের আবাসিক গ্রাহকরা। পাইপ লাইনের সঞ্চিত গ্যাস দিয়ে উত্তারঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ সচল ছিল।

পাইপ লাইনে ঈদের রাত থেকে গ্যাস পাওয়া যাবে না এমন আতঙ্কে অনেকে ঈদের রাতে ভাত রান্না করে সকালে পান্তা খেয়েছে। অনেকে ঈদের পরদিন আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করার সাহস করেনি। ৪৮ ঘণ্টা গ্যাস না থাকার ঘোষণায় গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলা পর্যন্ত কিনেছে।

কিন্তু গ্যাসের কারণে আবাসিক গ্রাহকরা যেন কষ্ট না পায়, সে দিকে সতর্ক ছিল পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি (পিজিসিএল)। পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক পরিচালন ও উন্নয়ন ফজলে আলম জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতর পশ্চিমপাড় পর্যন্ত পাইপ লাইনে সরাসরি গ্যাস যেত। ফোরলেন রাস্তার কাজ হওয়ায় বিদ্যামান লাইনেকে ঘুরিয়ে ভূয়াপুর ভাল্ব স্টেশন নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

উত্তরাঞ্চল পাইপ লাইনে ১২ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ৯ কোটি ঘন ফুট গ্যাস দেয়া হতো বিদ্যুৎ কোম্পানিকে। প্রায় ২ কোটি গ্যাস সিএনজি পাম্প স্টেশনে ও কলকারখানায় দেওয়া হতো । গ্যাস লাইন স্থানান্তর করার সময় পাইপে প্রায় ৩ কোটি ঘন ফুট গ্যাস মজুত ছিল। পশ্চিমাঞ্চল এই লাইন খুলনা পর্যন্ত গেছে।

পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মহাব্যবস্থাপক ফজলে আলম জানান, নির্ধারিত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ কোম্পানি, সিএনজি স্টেশন ও কলকারখায় গ্যাস বন্ধ রাখা হয়েছিল। শুধু আবাসিক সংযোগ যাতে সচল রাখা যায় তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল। উত্তরাঞ্চলের সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহীতে ১ লাখ ২৮ হাজার গ্যাসের চুলা আছে।

তিনি বলেন, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি সব সময সতর্ক ছিল যেন আবাসিক গ্রাহকরা বিড়ম্বনার শিকার না হয়। ঈদের দিনে গ্যাস সংযোগ না থাকা পেইনফুল।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও কিছু কিছু অনলাইন ও পত্রিকায় গ্যাস নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়। যা সঠিক ছিল না। তিনি আরো জানান, পাবনায় আভ্যন্তরীণ সংযোগ দেওয়ার করণে পিজিসিএল গ্যাস লাইন বন্ধ রেখেছিল।