করোনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৭ শতাংশ

প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো তিন হাজার ৩৫ জনে।

বুধবার দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস পাওয়া গেছে আরও ৩ হাজার ৯ জনের দেহে। এতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৮৭৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৩০ হাজার ২৯২ জনে।’

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘নতুন সংযুক্ত একটিসহ ৮২টি পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ২৫৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ১২৭টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ৫১ হাজার ২৫৮টি। নতুন পরীক্ষায় করোনা মিলেছে ৩ হাজার ৯ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জনে।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও নারী ৫ জন। এদের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব ৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৭ জন, ষাটোর্ধ্ব ১২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৭ জন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন ছিলেন।

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘মৃতের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছিলেন ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জন, বরিশাল বিভাগের ৪ জন, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’জন করে ও রংপুর বিভাগের ছিলেন একজন।’

বুধবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ১১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বুলেটিনে।

গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।