ছয় লাখ ২২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

প্রকাশিত: ১১:৩৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি বাড়ীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্যারেজে গাড়ী থেকে ছয় লাখ ২২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় পুড়ে তিনটি মোটর সাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে।
মহেশখালী থানা পুলিশের ওসি আব্দুল হাই জানিয়েছেন, রোববার দিবাগত রাত ২ টায় মহেশখালী পৌরসভার সিকদার পাড়া থেকে অভিযানে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্যারেজ ও গাড়ীগুলোর মালিক মহেশখালী পৌরসভার সিকদার পাড়ার মোহাম্মদ জকরিয়া সিকদার ওরফে মৌলভী জকরিয়ার ছেলে সালাহ উদ্দিন সিকদার (৪০)।

সে মহেশখালী পৌর মেয়র ও অনুষ্টিতব্য পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত মেয়র প্রার্থী মকছুদ মিয়ার চাচাত ভাই।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি আব্দুল হাই বলেন, পারিবারিক শত্রুতার জেরে পৌর মেয়র মকছুদ মিয়ার সঙ্গে সালাহ উদ্দিন সিকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এছাড়া আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য পৌর নির্বাচনে মকছুদ মিয়ার আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করছেন। এ পরিস্থিতিতে গত রাত ২ টায় পৌর মেয়রের কার্যালয়ের পাশে তার সমর্থকদের উপর কে বা কারা গুলি ছুড়ে। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন।

গুলিবিদ্ধরা হল, নুর হোসেন (৪০), মোহাম্মদ কাউছার (৩০) ও ভূবন দে (৩৫)।

ওসি জানান, আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

আব্দুল হাই বলেন, গভীর রাতে পৌর মেয়র মকছুদ মিয়ার কার্যালয়ের পাশে গুলির শব্দ শুনে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময় তার সমর্থকরা গোলাগুলির ঘটনার জন্য সালাহ উদ্দিন সিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন।

“এরই মধ্যে কে বা কারা সালাহ উদ্দিন সিকদারের বাড়ীতে গাড়ীর গ্যারেজে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।”

ওসি বলেন, “গ্যারেজে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩ টি মোটর সাইকেল ও ১টি প্রাইভেট কার পুড়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর পুড়ে যাওয়া প্রাইভেট কারের পিছনের বেক-ঢালার ভিতর থেকে কিছু প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেটগুলো খুলে আংশিক পুড়ে যাওয়া অবস্থায় ২ লাখ ২ হাজার এবং অক্ষত অবস্থায় ৪ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়।”

এসময় গ্যারেজ ও গাড়ীর মালিক পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান আব্দুল হাই।

ওসি জানান, গোলাগুলির ও আগুন লাগিয়ে দেবার ঘটনায় কে বা কারা জড়িত পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশ খোঁজ-খবর নিচ্ছে।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট ঘটনায় জড়িতে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান আব্দুল হাই।