কংগ্রেসে সৌদি যুবরাজকে নিষিদ্ধে ইলহাম ওমরের বিল!

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২১

সময় সংবাদ ডেস্কঃতুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিষিদ্ধ করতে প্রস্তাব আনার উদ্যোগ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি সভার সদস্য ইলহাম ওমর।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির অবস্থানের বাইরে গিয়েই এ উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দিলেন তিনি।

২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে গিয়ে নির্মমভাবে খুন হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক ও সৌদি রাজতন্ত্রের কট্টর সমালোচক খাশোগজি।

খাশোগজি একসময় সৌদি রাজপরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল তার হত্যার পেছনে হাত রয়েছে এমবিএসের। ট্রাম্পের শাসনামলে এ হত্যা প্রতিবেদনের ধামাচাপা দিয়ে রাখে যুক্তরাষ্ট্র। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে অবস্থান পাল্টায় হোয়াইট হাউস।

গত শুক্রবার প্রকাশ করা হয় খাশোগজি হত্যা নিয়ে করা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের (ডিএনআই) প্রতিবেদন। এতে বলা হয়, এ হত্যায় নির্দেশ ছিল সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি কার্যত দেশটির শাসক।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর পরই এ হত্যায় জড়িত ৭৬ জন সৌদি নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। কিন্তু এই তালিকায় যুবরাজের নাম উল্লেখ রয়েছে কি না, তা জানানো হয়নি। ভবিষ্যতে সামলানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হতে পারে কি না, তা-ও উল্লেখ করা হয়নি।

সৌদি যুবরাজের প্রতি এমন শিথিলতা মেনে নিতে পারছেন না সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত ইলহাম ওমর। ডেমোক্র্যাটদের টিকিটে মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত এই কংগ্রেস ওম্যান বলেন, ‘এটা আমাদের মানবতার জন্য পরীক্ষা।

‘যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিকার অর্থেই মত প্রকাশের স্বাধীনতায়, গণতন্ত্রে ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করে সে ক্ষেত্রে মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিষিদ্ধ না করার কোনো কারণ নেই। আমাদের নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে পেয়েছে, লোকটি যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ও সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজিকে হত্যায় অনুমোদন দিয়েছে।’

আল জাজিরা লিখেছে, ইলহাম ওমরের এই প্রস্তাবে তার সঙ্গে টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে।

সৌদি যুবরাজের বিষয়ে বলতে গিয়ে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস সংবাদ সম্মেলনে জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে ‘যথার্থ সম্পর্ক’ রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। দুই দেশের সম্পর্কে ‘ফাটল’ না ধরিয়ে বরং ‘মজবুত’ করার দিকেই নজর তাদের।