‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এখন আর মরণফাঁদ নয়’

প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এখন আর মরণফাঁদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সাভারের আমিনবাজারে ৪ লেন বিশিষ্ট দ্বিতীয় সালেপুর সেতুর উদ্বোধনের আগে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এক সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক মরণফাঁদ হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটতো এবং অনেক মানুষের প্রাণহানি হতো। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বাক প্রশস্তকরণ ডিভাইডার স্থাপনের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনাকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ওগুলোকে ৪ লেনে উন্নীত করার প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্তকরণের সময় বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে না হয়।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত সড়কটিকে ১০ লেনে উন্নীতকরণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু রাস্তা নির্মাণ করলেই হবে না, রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে পাশাপাশি নির্মাণ কাজে গুণগতমান ফিরিয়ে আনতে হবে। বর্ষাকাল বেশি দূরে নয়, রাস্তা নির্মাণের পর এক পশলা বৃষ্টিতে যদি সেই রাস্তার ছাল-বাকলা উঠে যায়, এ রকম রাস্তা নির্মাণ করে কোন লাভ নেই।’

তাই কাজের গুণগতমান বজায় রেখে বর্ষার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোকে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের নির্দেশনা প্রদান করেন সেতুমন্ত্রী।

দেশে সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে যে বিপ্লব ঘটে চলেছে তা এগিয়ে নিতে সকলকে আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি বলার পরও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এখনো ব্যানার-ফেস্টুন ঝোলানো রয়েছে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আরা নীপা, আমিনবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান শান্ত, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির রকিব আহমেদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬৪ মিটার লম্বা সেতুটির নির্মাণ কাজ আগামী দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে।