আরো দুটো স্টেন্ট বসানো হবে গাঙ্গুলীর ধমনীতে

প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২১

স্পোর্টস ডেস্কঃ ভারতের সাবেক সফল অধিনায়ক ও দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর হৃদপিন্ডে তিনটি ‘ব্লক’ ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে একটি ধমনীতে একটি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। যেটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। অন্য দু’টিতেও খুব শীঘ্রই স্টেন্ট বসানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এজন্য পরামর্শ নেয়া হতে পারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবী শেঠির।

গতকাল সকালে ব্যক্তিগত জিমে শরীর চর্চা করার সময় হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করে মাথা ঘুড়ে গড়ে যান গাঙ্গুলীকে। পরে সঙ্গে-সঙ্গেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতাল সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে, ‘আগের রাতে তার শরীর ভালো ছিল না। তারপরও রুটিন মেনে আজ সকালে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। হঠাৎ তার মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। পরে তাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়’।

হাসপাতালের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে জানানো হয়, গাঙ্গুলীর হৃদপিন্ডে তিনটি ‘ব্লক’ ধরা পড়েছে। তার মধ্যে ডান দিকের ধমনীতে প্রায় ৯০ শতাংশ ‘ব্লক’ ছিলো। বাকি দু’টিতে প্রায় ৭০ শতাংশ। তখনই অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করে ডান দিকের ধমনীতে একটি স্টেন্ট বসানো হয়।

গাঙ্গুলী চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য আফতাব খান বলেন, লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া দিয়ে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। উনি সচেতন রয়েছেন। কথাবার্তাও বলছেন।

মেডিক্যাল বোর্ডের আর এক সদস্য হৃদরোগ চিকিৎসক সরোজ মন্ডল বলেন, অন্য যে দু’টি ধমনীতে কম-বেশি সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে বোর্ড পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। এজন্য দেবী শেঠির সহায়তা নেয়া হতে পারে।

কার্ডিয়োথোরাসিক সার্জন কুণাল সরকার বলেন, গাঙ্গুলীর ডান দিকের ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে হৃদপিন্ডের মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ঠিক সময়ের মধ্যে সেই ধমনী খুলে দেয়া সম্ভব হয়েছে। বেশি সময় ধরে সেটি বন্ধ থাকলে বড় ঝুঁকির সম্ভাবনা ছিল।

চিকিৎসকদের মতে, ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ ডায়াবিটিস, অত্যধিক স্ট্রেসের কারণে সাধারণত হৃদরোগ হয়। কিন্তু ধূমপান না করা, নিয়মিত শরীরচর্চা, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করার পরও কেন হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন গাঙ্গুলী, তা ভাবিয়ে তুলেছে চিকিৎসকদের।

কুণালের মতে, ‘পারিবারিক হৃদরোগ সমস্যার ইতিহাস ও স্ট্রেসেও আক্রান্ত হতে পারে’।

একটি সূত্র বলছে, গাঙ্গুলীর বাবা চন্ডী গঙ্গোপাধ্যায়েরও হৃদ্যন্ত্রে বাইপাস সার্জারি করাতে হয়েছিল। ফলে সবকিছু নিয়মাফিক হবার পরও জিনগত কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন গাঙ্গুলী।

তাই কুণাল বলেন, জিনগত কারণ এবং অত্যাধিক মানসিক স্ট্রেসের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন গাঙ্গুলী’।