গণধর্ষণে সন্তান প্রসব, ডিএনএ টেস্টে মিলল পিতৃপরিচয় দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২০ অনলাইন ডেস্ক : ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। আর শনিবার তার পিতৃপরিচয় মিলল।জানা যায়, বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গণধর্ষণের শিকার হয়ে স্কুলছাত্রীর জন্ম দেওয়া সন্তানের পিতৃপরিচয় তৃতীয় দফায় ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী রাকিব হোসেন (২৮) নামে এক পরিবহন শ্রমিক ওই স্কুলছাত্রীর সন্তানের বাবা। শনিবার ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযুক্ত রাকিব হোসেন উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলাটি প্রায় দুই বছর ধরে তদন্ত শেষে বগুড়া আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে। মামলায় রাকিব হোসেন ও একই এলাকার অফফের আলীর ছেলে বকুল হোসেনকে (২৩) অভিযুক্ত করা হয়েছে। ডিএনএ টেস্ট ও তদন্তে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় এ মামলা থেকে স্কুলছাত্রীর নানা রশিদ মন্ডলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী উপজেলার ছোট চিকাশি-মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা। একই এলাকার কৈয়াগাড়ি গ্রামে নানা রশিদ মন্ডলের বাড়ি থেকে স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত সে। পার্শ্ববর্তী রঘুনাথপুর গ্রামের অফফের আলীর ছেলে বকুল হোসেনের (২৩) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল বিকেলে বকুল মেয়েটির ঘরে ঢুকে ধর্ষণের সময় ধরে ফেলে নানা। ঘটনাটি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একই সময় নানা রশিদ মন্ডলও নাতনিকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে তার বাবা বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মেয়েটির নানা রশিদ মন্ডল ও বকুল হোসেনকে আসামি করা হয়। এ অবস্থায় ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। এদিকে আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ সন্তানসহ স্কুলছাত্রীকে রাজশাহী শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রে (সেফহোম) রাখেন। এ অবস্থায় ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারী রশিদ মন্ডল ও বকুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া নবজাতকের জন্মদাতার পরিচয় শনাক্ত করতে রশিদ ও বকুলের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু তাদের ডিএনএ পরীক্ষায় সন্তানের জন্মদাতার পরিচয় মেলেনি। পরবর্তীতে আদালতে হাজির করা হলে স্কুলছাত্রী পুনরায় রাকিব হোসেনের নাম প্রকাশ করেন। গত ৭ আগস্ট নওগাঁ শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতের আদেশে ৩ সেপ্টেম্বর ওই স্কুলছাত্রী ও তার পুত্রসন্তান এবং রাকিবকে ঢাকা সিআইডির সদর দপ্তরে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে পরীক্ষায় সন্তানের জন্মদাতার পরিচয় মিলেছে। রাকিব প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীর সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। মামলায় অভিযুক্ত আসামি রাকিব ও বকুল বগুড়া কারাগারে আটক রয়েছে। Share this:FacebookX Related posts: লক্ষ্মীপুরে টয়লেটে মিলল মাদরাসাছাত্রের মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯টি স্বর্ণের বারসহ আটক-১ টাঙ্গাইলে তিন স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২ টাঙ্গাইলে ৩ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় দুজনের দায় স্বীকার ইউএনও’র গাড়ি ভাঙচুর করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা,আহত-৪ মাদারীপুরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাদক বিরোধী সভা-র্যালি খালেদা জিয়ার বাসভবনে জীবানুনাশক স্প্রে মাদারীপুরে নতুন আরো ২৯ জনসহ আক্রান্ত ৭৩৮ সন্ধ্যার পর হাতিরঝিলে প্রবেশ নিষেধ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা সম্পাদক ইলিয়াস রাজধানীতে চলছে খালের বর্জ্য অপসারণের অভিযান মানিকগঞ্জে মাদক কারবারির কারাদন্ড SHARES Matched Content ঢাকা বিভাগ বিষয়: গণধর্ষণেডিএনএ টেস্টেপিতৃপরিচয়মিললসন্তান প্রসব