রাজধানীতে চলছে খালের বর্জ্য অপসারণের অভিযান

প্রকাশিত: ৪:২৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীতে খালের বর্জ্য অপসারণের অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।

রোববার সকালে কাঁঠালবাগান ঢাল থেকে পান্থপথ মোড় পর্যন্ত পিটগুলোর মধ্যবর্তী অংশ থেকে এ অভিযান শুরু হয়।

এর আগে শনিবার নিজস্ব অর্থায়নে রাজধানীর খাল পরিষ্কার শুরু করে ডিএসসিসি। খাল পরিষ্কার অভিযানের অংশ হিসেবে প্রথম দিনে বাংলামোটরের পান্থকুঞ্জ পার্ক থেকে ধানমণ্ডির রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত দীর্ঘ বক্স কালভার্টের পাঁচটি পয়েন্ট পরিষ্কার করা হয়। এ সময় কালভার্টের পাঁচটি ড্রেনেজ পিট (মুখ) থেকে ৭৪ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

এই কালভার্টটিতে এমন ২৪টি পয়েন্ট আছে। পর্যায়ক্রমে সেগুলো পরিষ্কারের ঘোষণা দেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে পান্থপথ বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল, যা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ডিএসসিসির মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা পান্থপথ কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছি। এরপর আমরা সেগুনবাগিচা কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ করব। পাশাপাশি আমাদের জিরানী, মাণ্ডা ও শ্যামপুর খালে প্রাথমিক পরিচ্ছন্নতাকাজ চলছে।

তিনি আরো বলেন, আগামী এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে মার্চের মধ্যেই দুটি বক্স কালভার্ট ও তিনটি খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শেষ করতে চাই। এজন্য সমঝোতা স্মারক অনুসারে আগামী দুই বছর বর্জ্য অপসারণ কাজে ওয়াসার কারিগরি ও জনবল সহযোগিতা এবং যন্ত্রপাতির সাহায্য নেয়া হবে।

ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন বলেন, পান্থকুঞ্জ পার্কের ভেতরে যে বক্স কালভার্ট রয়েছে, সেটির গভীরতা দুই রকম। কোথাও ১১ ফুট আবার কোথাও ২০-২২ ফুট রয়েছে। আমরা কারিগরি কমিটির সহযোগিতায় সঠিক মাপটা বের করব। তা ছাড়া শুধু কালভার্টের ড্রেনেজ পিট পরিষ্কার করলেই হবে না; ভেতরে লোক প্রবেশ করাতে হবে। মেশিন প্রবেশ করাতে হবে। প্রেসার দিয়ে পানি দিতে হবে। সাকশন করে ওঠাতে হবে।
পাশাপাশি কালভার্টের ভেতরের কানেকশন মুখগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, সে মুখগুলো বন্ধ খুলতে হবে। প্রতিদিন আমরা ২০০ মিটার করে এগোব।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাবলা ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ।

ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে ২৬টি খালের দায়িত্ব নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে ঢাকার দুটি কর্পোরেশনের সঙ্গে এ নিয়ে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে।