শপিংমলে কেনাকাটা সম্পর্কে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ক্রেতারা তাদের নিজ নিজ এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা করতে যেতে পারবে।

বৃহস্পতিবার করোনাকালীন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন এলাকা সমূহ শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখার ব্যাপারে এক এ নির্দেশনা দেন ঢাকা মট্রাপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকান খোলা রাখা যাবে। তবে ফুটপাত বা প্রকাশ্য স্থানে হকার/ফেরীওয়ালা/অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেয়া যাবেনা।

তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে কেনা-কাটা করতে পারবে। এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা বা গমনাগমন করতে পারবে না।

এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় যাচ্ছে কি না সেই প্রসঙ্গে শফিকুল ইসলাম বলেন, যার যার বসবাসরত এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হবার জন্য প্রত্যেক ক্রেতা তার নিজ নিজ পরিচয়পত্র (যেমন: ব্যক্তিগত আইডি কার্ড/পাসপার্ট/ড্রাইভিং লাইসন্স/বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের মূল কপি ইত্যাদি) বহন করবেন এবং তা প্রবেশমুখে প্রদর্শন করবে।

শপিংমলে করোনা নিশ্চিত প্রসঙ্গে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যেক শপিংমলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জীবানুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করতে হবে। এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল ব্যানারর ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়াও প্রত্যেক দোকানে তাপমাত্রা মাপার ব্যবসস্থা রাখতে হবে।

এছাড়াও ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক পরিধান ব্যাতীত কোন ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবেনা। সকল বিক্রেতা ও দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করতে হবে।

সেইসঙ্গে প্রতিটি শপিংমল/বিপণি বিতানের সামনে সতর্কবাণী “স্বাস্থ্য বিধি না মানলে, মত্যু ঝুঁকি আছে” সম্বলিত ব্যানার টানাতে হবে।

ক্রেতা-বিক্রেতাক সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশ, বাহির ও কেনাকাটার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাকে কমপক্ষে ১ মিটার (প্রায় ৪০ ইঞ্চি) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে যতজন ক্রেতা অবস্থান করতে পারবে তার বেশি ক্রেতা প্রবেশ করতে দেয়া যাবেনা।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দোকানের সামনে দূরত্ব মেপে মার্কিং করতে হবে। শপিংমল গুলোতে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের (হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য) গমনাগমন নিরুৎসাহিত করতে হবে।

সেই সঙ্গে কেনা-কাটা শেষে মার্কেটে অযথা জটলা বা ভীড় সৃষ্টি করা যাবে না। যাদের কেনাকাটা শেষ হলে মার্কেট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে তাদের বের করে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।
শপিংমল গুলোতে প্রবেশ ও বাহিরের আলাদা পথ নির্ধারণ করতে হবে।

সর্বশেষ তিনি বলেন, প্রত্যেক শপিংমলের পার্কিং লেট গাড়ী জীবানুমুক্ত করণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়াও ড্রাইভাররা যাথে একত্রিত হয়ে আড্ডা না দেয় এবং নিজ নিজ গাড়ীতে অবস্থান করতে হবে।

শপিংমল যাতায়াতর প্রসঙ্গে বলেন, সীমিত পরিসরে সাধারণ রিকশা ও সিএনজি চালু থাকবে। তবে সিএনজিতে দুই জনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন নিরুৎসাহিত করা হবে। প্রতিটি যাত্রী এবং চালক মাস্ক পরিধান করতে হবে।