নিউজ ডেস্ক :গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকায় ঘরে ঢুকে এক পোশাক শ্রমিককে (২৫) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত আশরাফুল আলম (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ী এলাকার তকুমুদ্দিনের ছেলে।

অপর অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম (৩৩) দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। অভিযুক্তরা শ্রীপুরের চকপাড়া এলাকার হাজী আব্দুস ছাত্তারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

শ্রীপুর থানায় দায়ের করা মামলা ও ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভিকটিম চকপাড়া এলাকার একটি পোশাক কারখানার সহকারী অপারেটর (হেলপার) পদে চাকরি করেন। অভিযুক্তরা তাকে নানা সময় উত্ত্যক্ত করতেন। অভিযুক্ত আশরাফুল আলম ভিকটিমের পার্শ্ববর্তী কক্ষের ভাড়াটিয়া। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাথরুমের রুমের ওপর দিয়ে গ্রিল টপকে অভিযুক্ত আশরাফুল আলম ভিকটিমের ঘরে ঢোকেন।

পরে দরজা খুলে দিলে অপর অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমও ঘরে ঢোকেন। তারা ঘুমন্ত ভিকটিমের মুখ চেপে ধরেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে খুন জখমের হুমকি দিয়ে তারা ওই পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ করেন। পরে ঘটনা গোপন রাখার হুমকি দিয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্তরা বেরিয়ে যান। ভোরে বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়া ও স্থানীয়দের বিষয়টি জানানো হলে তারা প্রধান অভিযুক্ত আশরাফুল আলমকে আটক করেন। অপর অভিযুক্ত পালিয়ে যান।

শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, অভিযুক্ত আশরাফুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা রুজু করে ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Related posts:

বোরকা পরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ সাহায্য পাঠাতে তরুণীর পোশাক ছাড়া ছবি বিক্রি মুসল্লিদের ঘরে নামাজ আদায়ের নির্দেশ ঘরে না কবরে থাকবেন সিদ্ধান্ত আপনার : বেনজীর আহমেদ গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ ঘরে ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম বললেন আজহারী ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ, এমসি কলেজের তদন্ত প্রতিবেদন সিলগালা বিধবাকে গণধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেফতার ঘরে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে শিক্ষার্থীদের : প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঢুকে সহপাঠীকে ধর্ষণচেষ্টা, স্কুলছাত্র গ্রেফতার নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ ক্যামেরুনে বিদ্যালয়ে ঢুকে ৬ শিশুকে গুলি করে হত্যা