ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ, এমসি কলেজের তদন্ত প্রতিবেদন সিলগালা

প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২০

নিউজ ডেস্ক :সিলেটের ১২৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুরারিচাঁদ কলেজ (এমসি) ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন অধ্যক্ষের কাছে জমা দিয়েছে। কমিটির কাছ থেকে প্রতিবেদন পেয়ে অধ্যক্ষ প্রতিবেদনটি সিলগালা করে রেখেছেন।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সালেহ আহমদ বলেন, শনিবার (১০ অক্টোবর) তদন্ত প্রতিবেদন আমি পেয়েছি। রোববার (১১ অক্টোবর) সকালে প্রতিবেদনটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে।

সিলগালা করা প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, যেহেতু এ ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত ও উচ্চতর একটি কর্তৃপক্ষের আরও দুটি তদন্ত চলছে সেক্ষেত্রে কলেজের তদন্ত প্রতিবেদন এ মুহূর্তে প্রকাশ করলে ওই দুটি তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কলেজের তদন্ত প্রতিবেদনটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে।

এদিকে গতকাল সোমবার এমসি কলেজের ছাত্র মাসুম, সাইফুর, রনি, রবিউলের ছাত্রত্ব বাতিল ও সনদপত্র বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি তাদের স্থায়ীভাবে এমসি কলেজ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। এ চারজনই গণধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তারা চারজনই এ ঘটনার ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসের সামনে প্রাইভেটকারের মধ্যেই পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।

এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়। গণধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী।

এ ঘটনায় র‌্যাব ও পুলিশ এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ সন্দেহভাজন আরও দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার মোট আটজনের সবাইকে ধাপে ধাপে পাঁচদিনের করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে রিমান্ড শেষে আটজনই ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।