বুড়িগঙ্গা নদীতে ফের উচ্ছেদ অভিযান বিআইডব্লিউটিএর

প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে বেদখল হওয়া বুড়িগঙ্গা নদীর তীরভূমি উদ্ধারে পুর্নরায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরী নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ-(বিআইডব্লিউটিএ)।

সেমবার সকালে রাজধানীর সদরঘাট থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিলের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান চালায় সংস্থাটি। এদিনের অভিযানে দুইটি দ্বিতল ভবনসহ পাকা ও আধাপাকাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

রাজধানীর সদরঘাট থেকে উল্টিনগঞ্জ পর্যন্ত এ অভিযান চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বরাবরের মত এ উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সকালে রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর জায়গা পুনরুদ্ধারে গেলে বিআইডব্লিটিএর কর্মকর্তাদের সাথে এভাবেই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন শ্যামবাজার বণিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক মফিদুল ইসলাম। পরে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট সরকারি কাজে বাঁধা প্রধান করায় তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে দেন। এসময় বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট মাহবুব জামিল জানান, এদিনের অভিযানে প্রায় ৩০টি পাকা ভবনসহ শতাধিক স্থাপনা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। দখলের কাজে বাঁধা প্রদন করায় শ্যামবাজার বণিক সমিতির দপ্তর সম্পাদককে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা বাণিজ্য করায় কাঠসহ বেশ কিছু মালামাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা ওই মালামা ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। নিলামের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, পুনঃদখল ঠেকাতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন তারা। যে কোন মূল্যে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে বদ্ধ পরিকর বিআইডব্লিউটিএ। তিনি আরো বলেন, বার বার যাতে নদীর জায়গা দখল না হয় সেজন্যে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সমন্বয় একটি শক্তিশালী কমিটি করা হবে। ওই কমিটি এসব বিষয়ে স্থনীয় জনগণকে সচেতন করবেন।

এদিকে পুর্নরায় উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয়রা বলেন, বারবার নয় স্থায়ীভাবে সরকারে উচ্ছেদ করা উচিত। ফরাশগঞ্জ ঘাট এলাকার কামাল হোসেন বলেন, উচ্ছেদ পরবর্তী সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জরোদার করা উচিত। বিশেষ করে নদীর তীরের সড়কে উপর দখলদারী বন্ধ করতে নিয়মিত অভিযান প্রয়োজন বলেও দাবী করেন এই স্থানীয় বাসিন্দা।

উল্লেখ্য, ঢাকার চারপাশের নদীর তীরভূমি উদ্ধারে এর আগে দেড় বছরে প্রায় ১৬৪ দশমিক ২৫ একর জমি ও ৬ হজিরি ৪শ ৭১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।