গৌরীপুরে একই পরিবারের নারীসহ ৮ জনকে কুপিয়ে জখম, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট

প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২০

কমল সরকার,গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ; ময়মনসিংহের গৌরীপুরের কুল্লা গ্রামে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা একই পরিবারের নারীসহ আটজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। পরে সন্ত্রাসীরা পাঁচটি বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ছাড়াও ব্যাপক লুটপাট চালায়।

আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। স্থানীয় সুত্র ও আহতদের পরিবারের লোকজন জানায়,,উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের সামছুল হকের ছেলে সজিবুল ইসলাম(৩০) একই গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে হাবিবুল্লাহকে(২৮) গত সাত মাস আগে সাড়ে ছয় লাখ টাকা নিয়ে একটি এজেন্সির মাধ্যমে লিবিয়াতে পাঠায়।

সেখানে দুইমাস থাকার পর গত কোরবানি ঈদের আগে বাড়িতে চলে আসে হাবিুল্লাহ। এ অবস্থায় লিবিয়া ফেরত হাবিবুল্লাহ অভিযোগ তুলে যে শর্তে তাকে লিবিয়া পাঠানো হয়েছিল সেই শর্ত না মেনে তাকে সেখানে কষ্টে রাখা হয়েছিল। সেখানকার একটি চক্র তাকে নির্যাতনও করে। এ ঘটনার পর হাবিবুল্লাহ্’র পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে সাজিবুল ইসলামকে সাকূল্য টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু লিবিয়া পাঠানোর বিনিময়ে নেওয়া সকল টাকাই এজেন্সিকে দিলেই হাবিবুল্লাহকে লিবিয়া পাঠানো হয়। এ অবস্থায় সে কিভাবে টাকা ফেরত দিবে।

এ ধরনের কথা না মেনে হাবিুল্লাহ্’র পরিবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়। ইউনিয়ন পরিষদে সালিসের পর সিদ্ধান্ত হয় সাজিবুল শর্ত ভঙ্গ করে বিদেশ পাঠানোও তাকে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাবিবুল্লাহকে ফেরত দিতে হবে। সজিবুলের ভাই ফাইজুল ইসলাম জানান,সেই সালিসের সিদ্ধান্ত মেনে তাঁরা ভাইয়ের পরক্স হয়ে দুই দিন পর ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বাকী টাকা দিতে কিছু দিন সময় চায়। এর মধ্যে হাবিুল্লাহ সময় না দিয়ে দ্রুত টাকা ফেরত দিতে বিভিন্ন ধরনের হুমকী-ধমকী দেয় সজিবুলকে।

এ অবস্থায় গত সোমবার হাবিুল্লাহ তার দলবল নিয়ে সাজিবুলকে টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করে মারধর করে এবং ২/১ দিনের মধ্যে টাকা না দিলে বাড়ি ঘরে হামলাসসহ প্রাণনাশের হুমকীও দেয়। এ ঘটনাটি সজিবুল গৌরীপুর থানায় গিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। তারা(ডিউটি অফিসার) দেখবেন বলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এর একদিন পর হাবিুল্লাহ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাদশা ও রবিসহ ১০/১২জনকে ভাড়া করে গত মঙ্গলবার রাত ১২ টা ও তিনটায় দুই দফা হামলা চালিয়ে বসত ঘর ভাঙচুর,লুটপাট ও নারীসহ আটজনকে কুপিয়ে জখম করে। আহতরা হলেন,মো. সামছুল হাক(৫০),স্ত্রী জয়ফুল বেগম(৪৫)পুত্র সাজিবুল(৩০),হাইসেল(২০) ও আব্দুল আজিত(২৫)। এ ছাড়াও একই পরিবারের সোহেল(৪০),ফয়সাল(২২) ও নাজমা বেগম(৩৫)। তাঁদের মধ্যে সামছুল হক,স্ত্রী জয়ফুল বেগম,আজিত মিয়া ও নাজমা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে গৌরীপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দিন খান জানান,অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। হামলা সর্ম্পকে পূবেই অবহিত করা প্রসঙ্গে বলেন,এ ধরনের কোনো অভিযোগ কেউ করেনি।