অনিয়ম-দূর্নীতি সহ্য করা হবে না: এলজিআরডি মন্ত্রী

প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১০, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাঠ পরযায়ের প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, কাজের গুণগত মান সবসময় নিশ্চিত করতে হবে। নিম্নমানের কাজ, অনিয়ম-দূর্নীতি কোন অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না বলে সতর্ক করেন মন্ত্রী। অনিয়ম-দূর্নীতির সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

সোমবার মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত প্রকৌশলীদের নিয়ে আয়োজিত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে অবকাঠামো ও নির্মাণ প্রকল্পে গুনগতমান নিশ্চিত করতে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে কাজ করতে হবে। কোন বাঁধার কাছে নতি স্বীকার করা যাবেনা।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডিতে অত্যন্ত বিচক্ষণ মেধাবী যোগ্য প্রকৌশলীরা আছেন যারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখছেন এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ৬৪ টি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। যেখানে উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়।

তিনি বলেন, ঠিকাদার কাজের জন্য যে সকল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করবেন সেগুলো টেস্ট করার জন্য এখন আর ঢাকায় আসতে হয় না। সুতরাং ঠিকাদারের কাজের গুণগতমান এখন খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, অনেক সময় দেখা যায় সম্পূর্ণ রাস্তায় বক্স একবারে কেটে ফেলে রাখা হয়, এটি করা যাবে না এবং বক্স কেটে বেড ফিলিং করে অবশ্যই রোলার করতে হবে।

দেশে পেশাদার ঠিকাদার তৈরি করার উপর গুরুত্বারোপ করে মোঃ তাজুল ইসলাম, ঠিকাদারদের নিম্নমানের কাজের জন্য তাদের শাস্তির আওতায় আনতে একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করতে সংশ্লিদের নির্দেশ দেন। গ্রামীন রাস্তাঘাট নির্মাণের সময় যাতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না হয় সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে মাঠ পরযায়ের প্রকৌশলীদের নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।

উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অবশ্যই টেকসই, মানসম্পন্ন ও উৎপাদনশীল হতে হবে জানিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম, কাজে গতি আনতে প্রত্যেক কাজের জন্য বছরের শুরুতেই একটি ওয়ার্ক প্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনা তৈরির উপরও গুরুত্বারোপ করেন।