পশুহাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের নির্দেশ

প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে স্বল্প পরিসরে, লোক সমাগম কমিয়ে বসানো কোরবানির পশুর হাটে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্বসহ অন্যান্য সরকারি নির্দেশনা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্ত সকল জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা-২০২০ উপলক্ষে পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিতকল্পে অনলাইনে এক সভায় এই নির্দেশ দেন তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিরাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য সরকারি নির্দেশনা মেনে পশুর হাট আয়োজনের ব্যাপারে যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন। করোনার বিস্তার রোধে পশুর হাটে লোক সমাগম কমাতে কোনো বিস্তীর্ণ এলাকায় পশুর হাট বসালে ভালো হবে, নাকি ছোট ছোট করে বিভিন্ন জায়গায় বসালে ভালো হবে সব দিক বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় প্রশাসনকে হাট আয়োজন করতে বলা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে অনলাইনে বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে কুরবানির পশু কেনাবেচার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কোরবানির পশুর হাট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

পশুরহাটে কিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। করোনার বিস্তাররোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সরকারের নির্দেশনা মেনে পশুর হাটে পশু বেচাকেনা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া পশুর হাটের স্বাস্থ্য বিধি মানা, ক্রেতা-বিক্রেতা কিভাবে পশুর হাটে আসবেন, হাট কিভাবে বসবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে একটি সচেতনতামূলক টেলিভিশন বিজ্ঞাপ-টিভিসি তৈরি করা হয়েছে যা মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

পশুর হাটে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশনা মেনে আয়োজন করা হবে বলে সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন এবং তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এছাড়া, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কুরবানি দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় সভায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ অংশ নেন।