যে কারণে বেঁচে গেলেন সুমন বেপারি

প্রকাশিত: ৪:২৯ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর সদরঘাটের অদূরে বুড়িগঙ্গা নদীতে সোমবার সকালে ময়ূর-২ বড় লঞ্চের ধাক্কায় একটি ছোট যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যায়। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে লঞ্চটির একাংশ ওপরে উঠানো হলে সুমন বেপারি নামের এক যাত্রী লঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সাধারণত পানির নিচে ডুবে গেলে যেকোন মানুষ এক মিনিট থেকে সর্বোচ্চ দেড় মিনিটের মধ্যে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়াটাই স্বাভাবিক ঘটনা।

তাহলে এতো লম্বা সময় সুমন বেপারি কেন কীভাবে বেঁচে রইলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামক ছোট্ট লঞ্চটি কয়েক সেকেন্ড সময়ের মধ্যে পানিতে তলিয়ে যায়। লঞ্চটি পানির নিচে উল্টে যাওয়ায় বাতাস আটকে থাকে অর্থাৎ এয়ার পকেট তৈরি হয়। সম্ভবত সুমন বেপারি যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে পানি প্রবেশ করেনি এবং সুমণ বেপারি এয়ার পকেট থেকে অক্সিজেন নিয়েই বেঁচে ছিলেন। এটাই একমাত্র কারণ, এছাড়া দ্বিতীয় কোন কারণ নেই।

সুমন বেপারিকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ডুবুরিরা তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে লাইফ জ্যাকেটে ঢেকে এবং শরীর মেসেজ করে তার শরীর গরম করার চেষ্টা করেন। এরপর ওই ব্যক্তি চোখ মেলে তাকান। বর্তমানে তিনি পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি পেশায় একজন ফল ব্যবসায়ী। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর।