করোনা ঝুঁকির মধ্যেই পোশাক কারখানা চালু দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৩:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২০ অনলাইন ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যেই সীমিত আকারে চালু হয়েছে পোশাক কারখানা। তবে ধাপে ধাপে সব কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। বিজিএমইএর সহ সভাপতি ফয়সাল সামাদ বলেন, রোববার থেকে বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ঢাকা ও আশপাশের অন্তত ২০০ কারখানা চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে বিকেএমইএ কারখানার সংখ্যা তিনি জানাতে পারেনি। যেসব কারখানা চালু হবে সেখানে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ শ্রমিকের উপস্থিতির লক্ষ্য ধরেছে বিজিএমইএ। কেবল নিটিং, ডায়িং ও স্যাম্পল সেকশন চালু করার পরামর্শ দিয়েছে বিকেএমইএ। বিকেএমইএ সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিকেএমইএ নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাসরত বা কারখানার আশপাশে থাকা শ্রমিকদের দিয়েই সীমিত আকারে কারখানার কার্যক্রম শুরু করবে। নারায়ণগঞ্জের বাইরের অন্য জেলায় বসবাসরত শ্রমিকদের এখনই কাজে যোগ না দেয়ার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছে বিকেএমইএ। বিকেএমইএ সূত্রে জানা যায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে (কোভিড-১৯) বিভিন্ন দেশ একের একের পর এক লকডাউনের মুখোমুখি হয়েছে। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের নিটওয়্যার পণ্যের ক্রেতা দেশগুলো একের পর এক অর্ডার বাতিল করে দেয়। এ অবস্থায় পোশাক কারখানাগুলো সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় গত ২৬ মার্চ থেকে ধীরে ধীরে বন্ধ হতে থাকে পোশাক কারখানাগুলো। তার এক মাসের মাথায় জরুরি রপ্তানি আদেশ পালন করতে কিভাবে স্বল্প পরিসরে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কারখানা চালু করা যায় সেই আলোচনা শুরু হয়। মালিকপক্ষের পাশাপাশি খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসায়ী ও সরকারের পক্ষ থেকেও এই প্রস্তাবে সাড়া দেওয়া হয়। সামাজিক দূরত্ব রক্ষার এই সময়ে সতর্কতার সঙ্গে কিভাবে কারখানা চালু করা যায় তার একটি প্রটোকল তৈরি করে মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তবে কারখানা খোলার সিদ্ধান্তে মালিকদের মুনাফার বলি হবেন সাধারণ কর্মীরা, এমনটি মনে করছেন শ্রমিক প্রতিনিধিরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন ধাপে কারখানা খালার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠনগুলো। প্রথম পর্যায়ে রোববার ও সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ এলাকার নিটিং, ডায়িং ও স্যাম্পলিংয়ের কারখানা চালু হবে। ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের কারখানা, ৩০ এপ্রিল রূপগঞ্জ, নরসিংদী, কাঁচপুর এলাকা, ২ ও ৩ মে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ এলাকার কারখানা চালু করা হবে। কারখানা খোলার ক্ষেত্রে শুরুতে উৎপাদন ক্ষমতার ৩০ শতাংশ চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে। তবে এখন কোন শ্রমিক ঢাকার বাইরে থেকে নিয়ে আসতে পারবে না কারখানার মালিকরা। এদিকে, কারখানা খোলার খবরে অনেক শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেউ হেঁটে, আবার কেউ অতিরিক্ত ভাড়ায় রিকশা ও ভ্যানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করছেন শ্রমিকরা। Share this:FacebookX Related posts: বিমানের অনিয়ম ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে : মাহবুব আলী মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ পবিত্র শবে বরাত ৯ এপ্রিল কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসিসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করোনায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ সদস্যদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স চালু বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি করোনায় আক্রান্ত ‘আমাদের যুদ্ধজাহাজ তৈরির চিন্তা করতে হবে’ তিতাসের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত সিনহা হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা বিচারকের অপসারণ দাবিতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ, এজলাসে তালা দেশের পরিস্থিতি দেখে বলা যায় করোনা নিয়ন্ত্রণে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী SHARES Matched Content জাতীয় বিষয়: করোনা ঝুঁকির মধ্যেইপোশাক কারখানা চালু