চীনের স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে জাতীয় বীরের সংবর্ধনা

প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক ; চীনের উহান প্রদেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় যাবত করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়ে অবশেষে বীরের বেশে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।তবে মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) গোটা বিশ্বে প্রায় নয় হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য চায়না ডেইলি জানিয়েছে, চীনের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত স্বাস্থ্যকর্মীরা গত মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) থেকে আনুষ্ঠিকভাবে উহান ছাড়তে শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রাণঘাতী ভাইরাসের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করায় তাদের দেওয়া হচ্ছে বীরের সম্মান।

বিশ্লেষকদের মতে, হুবেই প্রদেশের উহানসহ বিভিন্ন শহরের সাতটি হাসপাতাল এবং ১৪টি অস্থায়ী হাসপাতালে ৬৮ হাজারের অধিক স্বাস্থ্যকর্মী বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসেছিলেন। মূলত সেখান থেকেই তারা করোনা আক্রান্তদের সেবা দিয়েছেন।

চীনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৯২৮ জন। তাছাড়া মারা গেছেন আরও কমপক্ষে ৩ হাজার ২৪৫ জন। যদিও গত কয়েকদিনে ভাইরাসটির তাণ্ডব দেশটিতে একদমই নেই বলেই চলে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৭৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ লাখ ১৯ হাজার মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ৮ হাজার ৯৬৭ জনে পৌঁছেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।