ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গ্যাস লাইন লিকেজ

প্রকাশিত: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক ; রাজধানীর উত্তরায় বাস র‌্যাপিড ট্রান্সপোর্ট (বিআরটি) লাইন প্রকল্পের কাজ করার সময় গ্যাস লাইন লিকেজের ঘটনা ঘটে। উত্তরার আইডিয়াল প্রোডাক্টের সামনের মহাসড়কে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এর ফলে দুই ঘন্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

উত্তরা জোনের সিনিয়র (ট্র্রাফিক) কামরুজ্জামান বলেন, ‘উত্তরায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)’র কাজ করার সময় মহাসড়কে গ্যাস লাইন লিক হয়ে গ্যাস নির্গত হওয়ার কারণে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে গ্যাস নির্গত হওয়া বন্ধ হলে সাড়ে ১২টার দিকে পুনরায় যান চলাচল শুরু করা হয়।’

দুর্ঘটনার পর পরই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার হাউজবিল্ডিং ও আব্দুল্লাহ্পুর থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বিভিন্ন পরিবহনে থাকা লাখো যাত্রীরা বিপাকে পড়েন। ঘন্টারও বেশি সময় বাসের মধ্যে বসে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে বাধ্য হয়ে অনেকে পায়ে হেটে গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হন।এদিকে, কিছু কিছু পরিবহনকে উত্তরার বিভিন্ন সেক্টরের ভেতর দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।

এছাড়াও, এ ঘটনার পর পরই আশপাশের চা ও সিগারেটের দোকানগুলো বন্ধ করে দেয় বিআরটি প্রকল্পের সাব কন্ট্রাক্টর এমবিএ প্রভিশনের কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় সাধারণ জনগণকে সিগারেট ও আগুন নিয়ে প্রবেশে বাধা দেন তারা।

উড়াল সেতু নির্মাণ করতে বার বার গ্যাস লাইন লিংক হয়ে যাওযার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাজের শুরু থেকে শেষে পর্যন্ত তিতাস গ্যাসের লোকজন উক্ত স্থানে উপস্থিত থেকে নজরদারির প্রয়োজন। কারণ, একমাত্র তারাই মাটির নিচে থাকা গ্যাস লাইনের অবস্থান প্রসঙ্গে বলতে পারবেন। বিআরটি প্রজেক্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিতাস গ্যাসের সমন্বয়হীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে।

উত্তরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম অবজারভার অনলাইনকে বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই বিকট শব্দে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। উত্তরা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানটি নিরাপদ করে রাখে। যাতে করে আগুন লাগলে তাৎক্ষণিক ভাবে মোকাবেলা করা যায়।

তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে আরও তিনবার প্রায় কাছাকাছি স্থানে পাইলিং করতে গিয়ে গ্যাস বিতরণ পাইপ লাইন কেটে বিকট শব্দে গ্যাস নির্গত হয়েছিল। এ ধরনের কাজে সংশ্লিষ্ট গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করলে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।