ভোট দিতে গিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলেনি সিইসির! দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৭:১১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০ স্টাফ রিপোর্টার : ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) দেখিয়ে নিজের ভোট দেন তিনি। শনিবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে উত্তরার আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দেন তিনি। সিইসি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোটার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ফিঙ্গার প্রিন্ট ৮-৯ বছর আগের। ঘামে ভেজা থাকায় হয়তো মেলেনি, পরে এনআইডি দিয়ে ভোট দিয়েছি। অনেকেই এই সমস্যায় পড়তে পারেন। তবে ভোট না দিয়ে কেউ যাবেন না। আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা আছে। বিকল্প ব্যবস্থায় ভোট দেয়া যাবে।’ সিইসি ভোট দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম। তিনি বলেন, সিইসি স্যার প্রথমে ভোট দিতে গেলে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে ভোট দিতে পারেননি। পরে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভোট দেন। ইভিএমে জালিয়াতি প্রসঙ্গে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাবে বলেছিলেন, ‘এত সহজ নাকি! এত সহজ! প্রশ্নই ওঠে না। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আগে যখন ব্যালটে ভোট হতো, তখন ছিনতাই করে নিলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত। কিন্তু ওইরকম করা কি সম্ভব? ইভিএম এমন একটা জিনিস, যেখানে ভোটারকে কেন্দ্রে যেতে হবে। এটা আমাদের অর্জন। আগে ভোটার যেত বা না যেত, ভোট হয়ে যেতে পারত। এখন আর সেই সুযোগ নেই।’ ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এবার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল গত ৩১ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ জানুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৯ জানুয়ারি। ভোটগ্রহণের তারিখ ৩০ জানুয়ারি থাকলেও ওইদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা থাকায় তা পরিবর্তন করে ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। গত ১০ জানুয়ারি প্রচার শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ হলো। মোট ২১ দিন প্রচারের সুযোগ পান প্রার্থীরা। Share this:FacebookX Related posts: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট হস্তান্তর বাংলাদেশকে এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনসহ করোনা সামগ্রী দিল ভারত ঢাকা ছেড়েছেন আরও ১৬৮ ব্রিটিশ নাগরিক দেশে নতুন করোনা আক্রান্ত ৪৯৭, মৃত-৭ যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল আর নেই বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: ময়ূর-২ লঞ্চের দুই চালক গ্রেফতার দেশের ১২ অঞ্চলে আজ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে মাসিক টিকাদানের হার বেড়ে প্রাক-কোভিড-১৯ পর্যায়কে ছাড়িয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আগামীতে নৌকার মনোনয়ন পাবেন না: ওবায়দুল কাদের চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়ে ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খুলে দেয়া হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলে আমি হস্তক্ষেপ করি : তথ্যমন্ত্রী SHARES Matched Content জাতীয় বিষয়: ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলেনি সিইসির!ভোট দিতে গিয়ে