কুয়েতে পাপুলের কারাদণ্ড আরো ৩ বছর বেড়েছে

প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সাবেক সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলের মানব পাচারের দায়ে মামলায় আদালত আরো ৩ বছর কারাদণ্ড বাড়িয়েছেন। কুয়েতে দণ্ডিত দুই মামলায় এখন পাপুলের কারাদণ্ড চার বছর থেকে বেড়ে সাত বছর হয়েছে।
সোমবার কুয়েতের আরবি দৈনিক আল কাবাস ও আল নাহার থেকে পাপুলের কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়ানোর খবর জানা গেছে।

কুয়েতের আদালত সূত্রে জানা যায়, আপিল আদালত আজ মানব পাচারের মামলায় পাপুলের পাশাপাশি আরো তিনজনকে কারাদণ্ডাদেশ দেন। তারা হলেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাজেন আল জারাহ, কুয়েতের সাবেক সাংসদ সালাহ খুরশিদ ও কুয়েতের একজন সরকারি কর্মকর্তা। তাদের সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। তবে ওই মামলা থেকে কুয়েতের বর্তমান সাংসদ সাদুন হামাদকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় ঘুষ লেনদেন ও মানব পাচারের অভিযোগে এবং অন্যটি করা হয় অর্থ পাচারের অভিযোগে। এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের দায়ে আগেই তার চার বছরের কারাদণ্ডাদেশ হয়। একই মামলায় এবার মানব পাচারের দায়ে আদালত ৩ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ কুয়েতি দিনারের অর্থদণ্ড দিলেন। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলাটি এখনো বিচারাধীন।

এর আগে বাংলাদেশে থেকে অবৈধভাবে কুয়েতে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেনের দায়ে গত জানুয়ারিতে পাপুলের চার বছর কারাদণ্ড হয়। এ ছাড়া ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করেন আদালত। এ মামলায় কুয়েতের তিন নাগরিকের পাশাপাশি সাংসদ শহিদের তিন সহকর্মী এবং সিরিয়ার এক নাগরিককে কারাদণ্ড দেন আদালত।

মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে কে গত বছরের ৬ জুন রাতে তার কুয়েত সিটির বাসা থেকে সে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আটক করেন।

প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-২ আসন (রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সদরের আংশিক) থেকে সাংসদ হয়েছিলেন শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুল। কুয়েতে কারাদণ্ডাদেশ হওয়ার পর সাংসদ পদ হারান তিনি। কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে লক্ষ্মীপুরের মানুষ শহিদ ইসলামকে দানবীর হিসেবে জানতেন। এলাকার লোকজন জানান, ১৯৮৯ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার হিসেবে চাকরি নিয়ে কুয়েত যান পাপুল।