বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে আগুন, পুড়ে গেল ১০ দোকান

প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক : সাভারের আশুলিয়ার শিমুলিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০টি দোকান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, নিষেধাজ্ঞার কারণে বিকেল ৪টার দিকে তারা দোকানপাট বন্ধ করে চলে যান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বৈদ্যুতিক খুটি থেকে একটি তার ছিড়ে পাশের আব্দুর রহিম গায়েনের তামা কাসার দোকানের উপর পরে এবং আগুন ধরে যায়। মুহুর্তের মধ্যেই আগুন পাশের অন্যান্য তামা-কাসার দোকান, প্লাস্টিকের দোকান, সিলভারের দোকান, হোটেল, পানের দোকান, ফলের দোকান ও চায়ের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় পরবর্তীতে ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। মোট ৪টি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে আব্দুর রহিম গায়েনের দোকানে থাকা সমস্ত মালামাল পুরে ছাই হয়ে যায়। তার দোকানে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার তামা-কাসা, পিতল, সিলভার, প্লাষ্টিক, স্টীলসহ বিভিন্ন প্রকারের মালামাল ছিল। বেশ কিছুদিন আগেই তিনি ১০ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে মালামাল ক্রয় করেছিলেন।

পাশেই মুনসের দোকান। তার দোকানে প্লাস্টিক, ষ্টীল, সিলভারের মালামালসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে জানান তার ছেলে সুমন আহম্মেদ।

তার পাশেই রয়েছে দীন ইসলামের পুরাতন তামা কাসার ভাঙ্গারির দোকান। তারও কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি নিষেধাজ্ঞার কারণে পুরান ঢাকা থেকে তামা কাসার ভাঙ্গারির মালামাল ক্রয় করে এনেছিলেন।

পাশেই রয়েছে আরিফের প্লাষ্টিকের গোডাউন। তিনি এখান থেকে বিভিন্ন স্থানে প্লাষ্টিকের মালামাল সরবরাহ করতেন। তার দোকানটি ও দোকানে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এর পাশেই রয়েছে আব্দুল হাইয়ের কাসা, পিতলের দোকান। তার দোকানে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে। এতে তার প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

আগুনে পুড়ে গেছে ওই বাজারের বিল্লো ঘোষের মিষ্টির দোকান, জয়নালের পানের দোকান, জাহাঙ্গীরের চায়ের দোকান, সুরত ও শাহ আলমের পানের দোকান, কুয়াত হোসেনের ফলের দোকানসহ মোট ১০টি দোকান।

শিমুলিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য তারেক আহাম্মেদ হিলারী জানান, খবর পেয়ে আমরা রাতেই এখানে এসে আগুন নেভানোর কাজে সহযোগীতা করেছি। আগুনে এখানকার ব্যবসায়ীদের বিশাল একটা ক্ষতি হয়ে গেল। এখানে বেশির ভাগ দোকান পাট হচ্ছে তামা-কাসার। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক বেশি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিদ্যুতের তার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি। ৮-১০ টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে।