মিয়ানমারের বিক্ষোভে এবার শামিল সংখ্যালঘুরাও

প্রকাশিত: ১০:২৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অং সান সু চির মুক্তি, সংবিধান সংশোধন করে শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সামরিক বাহিনীর কর্তৃত্ব হ্রাস ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবিতে মিয়ানমারে চলমান বিক্ষোভে এবার শামিল হয়েছেন দেশটির লেখক- কবি, জাতিগত- ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, এবং পরিবহন শ্রমিকরা।

মিয়ানমারে সামরিক শাসনের অবসান ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে চলমান বিক্ষোভে গত সপ্তাহে মিওয়ে থেওয়ে থেওয়ে খাইং নামে বিশ বছরের এক তরুণী গুলিবিদ্ধ হন। রাজধানী নেইপিদোর একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শুক্রবার মৃত্যু হয় তার।

শনিবার সকালে মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে দেশটির জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, লেখক ও কবি এবং পরিবহন শ্রমিকদের একটি মিছিল শহরের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিওয়ে থেওয়ে থেওয়ে খাইংয়ের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ দেশ মিয়ানমারের মোট জনসমষ্টির দুই তৃতীয়াংশই বর্মী জনগোষ্ঠীভূক্ত, বা বার্মিজ। প্রধানত বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী এই বর্মীরাই দেশটির শাসনতান্ত্রিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোর সবচেয়ে প্রভাবশালী অংশ।

বাকি এক তৃতীয়াংশ হচ্ছেন দেশটিতে বসবাসকারী ১০০টিরও বেশি সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভূক্ত মানুষ। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এদের একটি একটি বড় অংশই কোনো না কোনো সময় দেশটির সেনাবাহিনী কিংবা বর্মী জনগোষ্ঠীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সমঅধিকার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছেন দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা; কিন্তু দেশটির তৎকালীন ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার স্বাভাবিকভাবেই তাতে কর্ণপাত করেনি। পরবর্তীতে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির সময়েও এ দাবির পক্ষে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।