হবিগঞ্জে একদিনে তিন খুন দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১ সময় সংবাদ ডেস্কঃহবিগঞ্জের বানিয়াচং, লাখাই ও বাহুবল উপজেলায় তিনটি খুন হয়েছে। দুই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একদিনেই এ তিন হত্যাকান্ড হয়েছে। তবে এদের একজন পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। নিহতরা হলেন, লাখাইয়ের মনতৈল গ্রামের আছকির মিয়ার ছেলে জুবাইল মিয়া (১৮), বাহুবলের ফতেহপুর গ্রামের গেদু মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (২৩) ও বানিয়াচং উপজেলার চৌধুরীবাজার এলাকার মৃত হান্নান ঠাকুরের স্ত্রী জাকিয়া বেগম (৬৫)। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বানিয়াচংয়ে খুন হওয়া জাকিয়া বেগমের তিন ছেলের একজন ঢাকায় ব্যাংকে কর্মরত ও আরেকজন আমেরিকায় থাকেন। ছোট ছেলে যুবায়ের ঠাকুরকে নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকতেন। গতকাল সন্ধ্যায় যুবায়ের তার মাকে ঘরে একা রেখে গ্যানিংগঞ্জ বাজারে যান। রাতে এসে দেখেন ঘরের সামনের দরজা বন্ধ ও পেছনের দরজা খোলা। পরে মায়ের লাশ দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার দেন। বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরান হোসেন যায়যায়দিনকে জানান, ওই নারীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে। হাতুড়ির আঘাতে তার মুখ ও মাথা থেতলে গেছে। ছেলে জানিয়েছেন তিনি বিস্কুট আনতে বাজারে গিয়েছিলেন। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। বাহুবল মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে, ফতেহপুর গ্রামে জামাল মিয়ার সাথে একই গ্রামের সজল মিয়াদের পূর্ব বিরোধ ছিল। জামাল মিয়া শুক্রবার দুপুরে জমিতে সেচ দেয়ার জন্য হাওরে যান। সেখানে সজল মিয়ার সাথে তার ঝগড়া হয়। পরে বাড়ি ফেরার পথে সজলের লোকজন জামালের উপর হামলা করলে তার শরীরে টেটাবিদ্ধ হয়। এরপর স্থানীয়রা জামালকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান যায়যায়দিনকে জানান, পুলিশ ঘটনার পর হামলাকারী সজলের বোন শিল্পী আক্তার ও তার পক্ষের কাউছার মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে, লাখাই উপজেলার মনতৈল গ্রামের জুবাইল মিয়া গত ২৯ জানুয়ারি রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। এক সপ্তাহ পর গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আব্দুল কাইয়ুম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান যায়যায়দিনকে জানান, মরদেহের চোখ ও কানসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। এটি হত্যাকান্ড বলে পুলিশ নিশ্চিত। হত্যায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল হাই কামাল বলেছেন, জুবাইল মৃগী রোগী ছিলেন। ঘটনাটি খুন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে। Share this:FacebookX Related posts: No related posts. SHARES Matched Content প্রচ্ছদ বিষয়: একদিনেখুনতিনহবিগঞ্জে