কৃষকের পাকা ধানে মই দিলো অকাল বৃষ্টি

প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
কৃষকের পাকা ধানে মই দিলো অকাল বৃষ্টি

অনলাইন ডেস্ক : কৃষিভান্ডার খ্যাত গাইবান্ধার বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে নজর কাড়ছে আমন ধানের ক্ষেত। কোথাও কোথাও দুলছে সোনালী ধানের শীষ। আবার কেউ কেউ ধান কেটে ফেলে রেখেছেন জমিতে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে অবিরাম বৃষ্টি। অগ্রাহায়ণে এই অকাল বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষক।

বৃহস্পতিবার গাইবান্ধার প্রত্যান্ত অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ বৃষ্টির প্রভাবে পরিপক্ক ধান গাছগুলো নুয়ে পড়েছে মাটিতে। আবার কেটে জমিতে ফেলে রাখা ধানের নিচে জমেছে পানি। এ পরিস্থিতিতে ফসল রক্ষা কৃষকের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

জানা যায়, রোপা আমন চারা রোপণের সময় খরাসহ নানা প্রতিকূল পেরিয়ে বাম্পার ফলন সম্ভাবনা দেখা দেয়। সম্প্রতি এ অঞ্চলে শুরু হয় ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম। মনের আনন্দে নতুন ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন বুনছিলেন কৃষক। আর সেই স্বপ্ন ম্লান করে দিচ্ছে অকাল বৃষ্টি। গত ৩ দিন ধরে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে গাইবান্ধা জেলায়। এর
প্রভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ।কোথাও কোথাও ধান কেটে জমিতে রাখা হয়েছে। কেউ বা আটি বেঁধে মাড়াইয়ের জন্য স্তুপ করে রেখেছেন বাড়ির ওঠানে। অনেকে সিদ্ধও করেছেন ধান। এ অবস্থায় কৃষকের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। এ কারণে স্থবির হয়ে পড়ছে কাটা-মাড়াই কাজ। আবহাওয়া অনুকুলে না আসলে পাকা ধানের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করছেন ভুক্তভোগি কৃষকরা।

এদিকে, জেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ৭২০ হেক্টর অর্জন হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ ভাগ ধান ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। অবশিষ্ট ধান জমিতে রয়েছে।

কৃষক ছাদেকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে চার বিঘা জমিতে আমন আবাদ করেছি। ইতোমধ্যে আড়াই বিঘা জমির ধান ঘরে ঘরে তোলা হয়। আর দেড় বিঘা ধান কেটে জমিতে শুকানোর জন্য ফেলে রাখা হয়েছে।

এরই মধ্যে অবিরাম বৃষ্টিতে সেইসব ধানে জলাবদ্ধে পড়ায় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছি।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক খোরশেদ আলম জানান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত রংপুর বিভাগে মাঝারি-ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের ক্ষতির প্রভাব থেকে দন্ডায়মান ফসল রক্ষার্থে কৃষকদের জরুরি পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।