জামালপুরে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১:০২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগী মৃত্যুর ঘটনায় দোষী চিকিৎসকের বিচার ও কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে ওই রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী। এদিকে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চিকিৎসকদের আহত করা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তি এবং সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বকুলতলা চত্বরে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় মৃত রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা। ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শামীম আহমেদ, ফজলুর রহমান, বিষ্ণু চন্দ্র মন্ডল প্রমুখ। এ সময় বক্তারা, চিকিৎসা অবহেলায় রোগী মৃত্যুর জন্য দোষী চিকিৎসকের শাস্তি, হয়রানিমূলক মামলা ও নিরীহ রোগীদের জিম্মি করে তাদের হয়রানি বন্ধে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এদিকে, জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এুহা. মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, যত দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন হবে তত দ্রুতই আমরা কাজে ফিরে যাব। আমাদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে আজ থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলায় চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান আহত হন এবং তাকেসহ কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। এই ঘটনায় জড়িত সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খানকে প্রত্যাহার, কর্মস্থল নিরাপদ করা, দোষীদের বিচার ও অতি দ্রুত চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবিতে গত রোববার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করে জেলার সকল চিকিৎসক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানান চিকিৎসকরা। তবে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলেও হাসপাতালগুলোর আন্তঃবিভাগসহ চালু রয়েছে জরুরি সেবা। এদিকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে সেবা নিতে আসা রোগীরা।