ভাসানচরের উদ্দেশ্যে আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গার যাত্রা

প্রকাশিত: ৪:২৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক ; কক্সবাজারের উখিয়া থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গা।উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে সোমবার বেলা ১২টায় দ্বিতীয় বারের প্রথম দফায় ২০টি ও আড়াইটার দিকে ১০টি বাস রওনা হয়।

যাদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার নৌ-বাহিনীর ঘাঁটিতে। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের নৌ-বাহিনীর ঘাট থেকে নৌপথে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।

বাসগুলোতে এক হাজার ২শ থেকে এক হাজার ৫শ রোহিঙ্গা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের বহনকারি বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র‌্যাব, পুলিশ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।

তবে বাসগুলোতে কতজন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই বলেননি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এর আগে গত ০৪ ডিসেম্বর প্রথমবারের মত এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

স্থানীয়রা বলছেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য রোববার রাতেই অনেককে উখিয়ার কুতুপালং সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। আবার অনেককে সোমবার সকালে আনা হয়। রাতেই উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো করা হয় বেশ কিছু যাত্রীবাহী বাস।

স্থানীয় মুদির দোকানি আবুল কালাম বলেন, সোমবার বেলা ১২টায় দ্বিতীয় বারের মত প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে ১৩টি বাস উখিয়া ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যেতে দেখেছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্বিতীয় দল প্রথমে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে।

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। যেখানে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে।