বঙ্গবন্ধুকে মরণোত্তর নোবেল দেওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত: ৫:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২০

অনলাইন ডেস্কঃ জাতির জনক এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শান্তিতে মরণোত্তর নোবেল প্রাইজ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের সরকার ও বিরোধীদলীয় সদস্যরা।

বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমীর হোসেন আমু ও বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এ আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনায় আরো অংশ নেন ডা. আ ফ ম রুহুল হক, রমেশ চন্দ্র সেন, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, হুইপ মো. ইকবালুর রহিম, আ ক ম বাহাউদ্দিন ও সুবর্ণা মোস্তফা এবং বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, বিএনপির মো. হারুনুর রশীদ, গণফোরামের মোকাব্বির খান প্রমুখ।


এ সময় আমীর হোসেন আমু বলেন, স্বাধীনতা হঠাৎ করে আসেনি। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায়ই স্বাধীনতা এসেছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, সোনার বাংলা গড়ার কাঠামো তৈরি করে গিয়েছিলেন। তার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই স্বপ্নের সাধ পাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু আজ নেই, কিন্তু তার প্রতিচ্ছবি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে সফলতা লাভ করছি।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সমগ্র জাতিকে এতিম করা হয়েছে। খুনিদের বিচার হলেও নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হয়নি। ওই ঘটনায় যারা নীরব ছিলেন তাদেরও বিচার হওয়া দরকার। সেই সময়ের রাষ্ট্রীয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের বিচার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের বাংলাদেশের মাটিতে ঠাঁই নেই। এই সংসদে যাতে তারা আর কখনই ফিরতে না পারে সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে হুইপ ইকবালু রহিম বলেন, সংসদে ও সংসদের বাইরে বঙ্গবন্ধু কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন। দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর ও চোরদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও দেশকে রক্ষায় সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।