এএসপির মৃত্যু: যা বললেন তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার

প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২০

অনলাইন ডেস্কঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নয়, মাইন্ড এইড হাসপাতালে কর্মচারীদের মারধরে সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম মারা গেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন করেন।

তিনি বলেন, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড। হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়ার পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এখনো ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিহত আনিসুল করিম বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনারের পদে ছিলেন। এছাড়া সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে বরিশাল মহানগর পুলিশে (বিএমপি) কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়।

আনিস এক সন্তানের জনক। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।

আনিসুল করিমের ভাই রেজাউল বলেন, আনিস কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার দুপুরে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে যান। কাউন্টারে যখন ভর্তির ফরম পূরণ করছিলেন, তখন কয়েকজন কর্মচারী দোতলায় নেন। কিছুক্ষণ পর আনিসুল অজ্ঞান হওয়ার খবর পান। সেখান থেকে তাকে দ্রুত জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিউটিটে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলেন, পরে আদাবর থানা পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতাল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়।


এতে দেখা যায়, দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে টানাহিঁচড়ে একটি কক্ষে ঢোকানো হয়। সেখানে হাসপাতালের ছয় কর্মচারী মিলে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এরপর নীল পোশাক পরা আরো দুজন কর্মচারী পা চেপে ধরেন। তার মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারী হাতের কনুই দিয়ে আঘাত করে। এ সময় হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ পাশে দাঁড়ানো ছিল। পরে একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পিছমোড়া বাঁধা হয়। কয়েক মিনিট পর আনিস জ্ঞান হারান।

কর্মচারীদের একজন আনিসকে মুখে পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে। কিছু সময় পর সাদা অ্যাপ্রোন পরা একজন নারী কক্ষে প্রবেশ করেন। কক্ষের দরজা লাগিয়ে আনিসের বুকে পাম্প করেন ওই নারী।

রেজাউল করিম বলেন, আনিসের ব্লাডপ্রেসার ও হৃদরোগ ছিল। কিন্তু এ দুটির কোনোটিই মারাত্মক ছিল না। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গণপিটুনিতে ভাই মারা গেছে।