মহামারীকালেও বাংলাদেশের পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজ তৈরি

প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাকালেই তৈরি হলো বাংলাদেশের পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজ ‘এমভি রোকনুর-৩২’। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে তৈরি ৩২০০ ডেডওয়েট টন বহন ক্ষমতার এবং প্রায় ৮২ দশমিক ৫ মিটার লম্বা জাহাজটির ‘সী ট্রায়াল’ সম্পন্ন হয়েছে।
ইন্ডিয়ান রেজিস্ট্রার অব শিপিংয়ের (আইআরএস ক্লাস) আওতায় চট্টগ্রামের ডেলটা শিপইয়ার্ড লিমিটেড জাহাজটি নির্মাণ করে।

সিকম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনিচার্ট নেভিগেশন লিমিটেডের জন্য তৈরি ২৩ কোটি টাকা দামের জাহাজটি শিগগিরই বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করবে। বর্তমানে জাহাজটি কর্ণফুলী নদীতে অপেক্ষমাণ আছে।

সূত্র জানায়, ডেল্টা শিপইয়ার্ডকে ৫টি জাহাজ তৈরির জন্য ২০১৯ সালের জুনে নির্মাণ আদেশ দিয়েছিল ইউনিচার্ট নেভিগেশন লিমিটেড। তারই প্রথমটি ‘এমভি রোকনুর৩২’। যা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম কনভেনশন ও কোড মেনে ডিজাইন ও নির্মাণ করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে জাহাজটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর মধ্যে চলতি বছর শুরু হয় করোনাকাল। তারপরও শিপইয়ার্ডের উদ্যোক্তা ও কর্মীদের দক্ষতা, আন্তরিকতায় এক বছরের মধ্যে জাহাজটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারীকালেও এই জাহাজটি সাফল্যের সঙ্গে আইআরএস ক্লাস মেনে তৈরি করাতে হেলিক্স পিআর (আইআরএস এর পক্ষে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

আইআরএস ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ রিজিয়নের ম্যানেজার মি. অমিত ভাটনাগর বলেন, এ রকম দুর্যোগের মুহূর্তে আমাদের টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করে যেভাবে জাহাজটি নির্মাণ করেছে তাতে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।

সিকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক বলেন, আমি প্রথমেই আইআরএস ক্লাসকে এ অস্বাভাবিক সময়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ায় ধন্যবাদ জানাতে চাই, সঙ্গে আমার সহকর্মীদেরও অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি আশাবাদী ভবিষ্যতে আমরা এর চেয়েও বড় বড় জাহাজ নির্মাণে সক্ষম হবো।

মাত্র ৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান থেকে এ পর্যন্ত দেশের ভেতর চলাচল উপযোগী ও সমুদ্রগামী প্রায় ২০টি জাহাজ নির্মাণ করা হয়েছে ও ১ হাজার টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এলপিজি ট্যাংকার (আইআরএস ক্লাসের) নির্মাণাধীন রয়েছে। ডেলটা শিপইয়ার্ডের দুটি ইউনিট-কালুরঘাট (চট্টগ্রাম) ও মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত।

ডেলটা শিপইয়ার্ড লিমিটেড শতভাগ নারী উদ্যোক্তা নির্ভর শিল্প গ্রতিষ্ঠান। কোম্পানির চেয়ারম্যান ফারজানা আফরোজ, যিনি টিকে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ কালামের মেয়ে।